বাংলাহান্ট ডেস্ক: সলমন খানের (salman khan) বহু প্রাক্তন প্রেমিকাদের মধ্যে অন্যতম সোমি আলি (somy ali)। সলমনের প্রেমে পাগল হয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সে সম্পর্ক টেকেনি। সম্প্রতি অভিযোগ উঠল, সলমনের মারধোরের কারণেই নাকি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন সোমি।
অতি সম্প্রতি ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের প্রশংসা করে করা সোমির কমেন্ট ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তাঁকে বিশ্বসুন্দরী অভিনেত্রীর প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল আগেকার দিনে গার্হস্থ্য হিংসার প্রতিবাদ করে মামলা দায়ের করার জন্য। তিনি বলেন, “ঐশ্বর্যই একমাত্র যিনি সাহস দেখিয়ে গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেজন্য তাঁকে সম্মান করি।”
বোঝাই গিয়েছে, সলমনের সঙ্গে ঐশ্বর্যর সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন তিনি। ভাইজান যে সোমিরও প্রাক্তন ছিলেন সেই প্রসঙ্গ তুলেই এবার অভিযোগ উঠেছে, সোমিও সলমনের হাতে মার খেয়েছেন। অভিযোগ তুললেন, স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কামাল আর খান।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘সোমি আলি তাঁয সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অ্যাশ একজন সাহসী মেয়ে। উনি ওই খারাপ মানুষটাকে মুখের উপর জবাব দিয়েছেন যিনি নিজের সব বান্ধবীদের মারধোর করতেন। উনি আমাকেও মেরেছিলেন কিন্তু আমি মামলা দায়ের করতে পারিনি। প্রিয় সোমি, তুমি অনেক দেরি করে ফেলেছো।’ এই বিষ্ফোরক অভিযোগের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্যই করেননি সলমন বা সোমি কেউই।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে সলমনের প্রেমে পড়ে ভারতে এসেছিলেন সোমি। ছবির অডিশনে যেতেন শুধু সলমনকে দেখার জন্য। সেই শুরু। তারপর দীর্ঘ আট বছর সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন এই পাকিস্তানি অভিনেত্রী। দুজনে একটা লম্বা সময় লাইমলাইটে ছিলেন।
কিন্তু সেই প্রেমও টেকেনি সলমনের। জানা যায়, সঙ্গীতা বিজলানিকে বিচ্ছেদ দিয়ে সোমির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সলমন। কিন্তু সলমনের হিংস্র মনোভাবের জন্য সেই সম্পর্ক থেকে এক সময় বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন সোমি। এমনটাই শোনা যায় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।