বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে ফের প্রাণ গেল ভারতের অন্যতম বড় শত্রু তথা আইএসআই চর মুফতি শাহ মিরের। কুলভূষণ অপহরণের মাস্টারমাইন্ড এই মৌলবাদী নেতার মৃত্যু হল অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের গুলিতে। শুক্রবার রাতে বালুচিস্তানের তুরবাতে হামলার শিকার হন মুফতি শাহ মির। বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ যায় এই আইএসআই চরের।
পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতেই শেষ ISI চর
সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মসজিদ থেকে নামাজ পাঠ সেরে নিজের বাইকে চেপে শুক্রবার শেষ রাতে বাড়ি ফিরছিলেন মুফতি। সেই সময়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় মুফতি শাহ মিরের (Mufti Shah Mir) উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে দুর্ধর্ষ নম্বর! দুর্দান্ত ব়্যাঙ্ক জয়েন্টেও, IIT বাবার মার্কশিট দেখে অবাক সকলে
ইতিমধ্যেই পাকিস্তান পুলিশের তরফে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৌলবাদী এই নেতা পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। বালুচিস্তানের বিদ্রোহীদের গতিবিধি সম্পর্কে খবর পাচার করার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। এর আগেও দু’দুবার প্রকাশ্য হামলার শিকার হয়েছিলেন এই মৌলবাদী নেতা।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে আসছে সুখবর? জানুন আপডেট
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কূলভূষণ যাদব পাক সেনার হাতে গ্রেফতার হন ২০১৬ সালের ৩ মার্চ। ধারণা করা হয়, কুলভূষণ (Kulbhushan Yadav) অপহরণের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মুফতি। ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, মুফতির সুপরিকল্পিত চক্রান্তেই কূলভূষণ যাদবকে অপহরণ করা হয় ইরান থেকে।
এরপর বালুচিস্তানে বিদ্রোহীদের মদত দেওয়ার অভিযোগে ফাঁসিয়ে মিথ্যা গল্প সাজায় পাকিস্তান (Pakistan)। ভারত প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল, গোটা এই ষড়যন্ত্রের পিছনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন মুফতি। পাশাপাশি, আইএসআইয়ের নির্দেশে বালুচিস্তানে মানব পাচার ও মাদক এবং অস্ত্রপাচারেও অভিযোগ ছিল মুফতির বিরুদ্ধে।
গোয়েন্দা সূত্র মারফত খবর,পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল মুফতি মিরের। পাশাপাশি ভারতে পাকিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ‘অগ্রণী’ ভূমিকা পালন করতেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মুফতি মিরের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত স্বস্তি পেলেও, আইএসআইয়ের কাছে এটা একটা বড় ধাক্কা।