বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) জেলে থেকেই কেটে গিয়েছে তাঁর জীবনের ২৮ টি বছর। পাশাপাশি হয়েছেন চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকারও। যদিও, তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন নি কেউই। তবে, এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তিনি পুনরায় মিলিত হয়েছেন তাঁর পরিবারের সাথে। আর সেখানেই তিনি রোমন্থন করলেন সেই অভিশপ্ত দিনগুলির কথা।
মূলত, গুজরাটের কুলদীপ যাদব গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। সেখানেই কেটে যায় ২৮ টি বছর। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানি এজেন্সির হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। এমতাবস্থায়, বর্তমানে ৫৯ বছর বয়সী কুলদীপ পাকিস্তানের জেলে থাকা বাকি ভারতীয় বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রের কাছে।
“ভারত সরকার আমাদের স্বীকার না করলে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে”: তিনি বলেন, “যখনই আমরা পাকিস্তান সরকার এবং জেল কর্তৃপক্ষকে আমাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি, তারা একটি কথাই বলত, যে ভারত সরকার আমাদের স্বীকার করে না। যখন ভারত সরকার আমাদের স্বীকার করে না, তখন মুক্তিও কঠিন হয়ে পড়ে। ”
পাশাপাশি, তিনি সরকারের কাছে তাঁর পুনর্বাসনের জন্য সাহায্যও চান। কুলদীপ বলেন, “আমার গায়ের জামাটিও পাকিস্তানের। আমার নিজের কোনো জামাকাপড় নেই।” এমতাবস্থায়, কুলদীপ পাকিস্তানে স্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে সে দেশের কারাগারে ভারতীয় বন্দিদের দুর্দশা প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি চাই সেখানে আটকে থাকা সমস্ত ভারতীয় বন্দিরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়ার একই আনন্দ পান যা আমি আজ পেয়েছি। ভারত সরকারের উচিত পাকিস্তানের জেলে থাকা ভারতীয়দের বিনিময়ে এখানকার কারাগারে বন্দি থাকা পাকিস্তানিদের মুক্তি দেওয়া।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের এজেন্সি কুলদীপকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করে এবং তিন বছর যাবৎ আটকে রাখে। এর পরে, একটি সামরিক আদালত তাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পাশাপাশি, ১৯৯৬ সালে তাঁকে কোট লাখপত জেলে স্থানান্তরিত করাও হয়।