‘আমি আগে সূর্যর ব্যাটিং কোচ ছিলাম, এখন কুলদীপকে বোলিং শেখাই’, ইডেনে জয়ের পর মন্তব্য চাহালের

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: নিজের অফ ফর্মের কারনে তিনি দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের (Team India) বাইরে ছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন যে তার বোলিংয়ের রহস্য ভেদ করে ফেলেছে বিশ্বের যাবতীয় ব‍্যাটাররা, তার পক্ষে আর ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলা সম্ভব হবে না। কিন্তু চোট আঘাত কাটিয়ে দীর্ঘদিন ব্যাঙ্গালোরের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) নিজের বোলিংয়ে শান দিয়ে ফির একবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছেন কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)।

মজার ব্যাপার হল যে তিনি এখনো ভারতীয় দলে নিয়মিত নন। তা সত্ত্বেও জাতীয় দলের হয়ে খেলা সমস্ত ফরম‍্যাট মিলিয়ে তার শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি। প্রাক্তন ভারতীয় পেশার এবং বর্তমান ধারাভাষ্যকার ইরফান পাঠান জানিয়েছেন যে কুলদীপ নিজের বোলিং সমতলতা এবং ভঙ্গিতে কিছু পরিবর্তন এনেছেন যা তাকে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে বল ডেলিভারি করতে সুযোগ করে দেয় এবং তার ফলে তার স্পিনের পাশাপাশি গতির বৈচিত্র ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলছে।

kuldeep india

মজার ব্যাপার হলো বারবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা সত্ত্বেও কুলদীপ যাদব শেষ কিছু মাসে ভারতীয় দলে নিয়মিত হয়ে উঠতে পারেননি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন কিন্তু পরের ম্যাচে তাকেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চলতি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজেও তিনি সুযোগ পেয়েছেন কেবলমাত্র যুজবেন্দ্র চাহাল চোট পাওয়ায়। তবুও ম্যাচের শেষে কুলদীপের গলায় শোনা গেল চাহালের প্রশংসা।

গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে যখন তিন উইকেটে নিয়ে ম্যাচের সেরা হন কুলদীপ, তখন নিজের সেরার পুরস্কারটি হাতে তোলার সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চায়নাম্যান স্পিনার বলেন, “চাহাল ভাই সব সময় আমাকে সাপোর্ট করে যায়। যেহেতু ও আগের কয়েকটা ম্যাচে এই ব্যাটারদের বিরুদ্ধে খেলেছে তাই ওর ধারণা রয়েছে যে তারা কেমন ব্যাটিং করে। সেই অনুযায়ী ওভার শেষ হওয়ার পর আমাকে মাঠের বাইরে থেকে উনি পরামর্শ দিয়ে গেছেন এবং আমি সেই অনুযায়ী বোলিং করে উইকেটও পেয়েছি।”

এরপর বিসিসিআই টিভিতে চালের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলার সময় তিনি বলেছেন, “আমি সম্প্রতি টানা লাল বলের ক্রিকেট খেলতে খেলতে সোজা সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছি আজ। তোমার পরামর্শ আমার জন্য বেশ লাভজনক ছিল।” এর জবাবে চাহাল মজা করে বলেছেন, “আমি তো আগে সূর্য কুমার যাদবের ব্যাটিং কোচ ছিলামই, এবার আমি কুলদীপ যাদবের বোলিং কোচও হয়ে গিয়েছি।” দুই স্পিনার দীর্ঘদিন একে অপরের সঙ্গে বোলিং করেছেন এবং তাদের জুটি ‘কুল-চা’ জুটি নামে বিখ্যাত ছিল। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের বছরে দুজনেই যদি ফর্মে থাকেন তাহলে কে বলতে পারে যে তাদের হয়তো বিশ্বকাপে একসঙ্গে ফের জুটি বাঁধতে দেখা যাবে না!

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর