দশ বছরের দাম্পত্যে বহু বান্ধবী, অভিনেত্রী মীনাক্ষীর সঙ্গে পরকীয়া! কেচ্ছায় ভরা জীবন কুমার শানুর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: তরুণ প্রজন্ম যতই অরিজিৎ সিংকে বলিউডের সুরসম্রাটের আসনে বসাক না কেন, আসল মেলোডি কিংয়ের তকমা কিন্তু কুমার শানুরই (Kumar Sanu) প্রাপ্য। আশির দশকে হিন্দি বিনোদুনিয়ায় উত্থান শানুর। প্রথম থেকেই তাঁর কণ্ঠ নজর কেড়ে নিয়েছিল সঙ্গীত পরিচালক, সুরকারদের। আর ‘আশিকি’ ছবির পর তো আর পেছন ফিরে তাকাতেই হয়নি তাঁকে।

এই ছবির প্রতিটি গানই গেয়েছিলেন কুমার শানু। ১৯৯০ সালে মুক্তি পেয়েছিল আশিকি। ওই বছরটা নানান কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল শানুর জীবনে। কারণ ওই বছরটা শুধু তাঁর পেশাগত জীবনেই প্রভাব ফেলেনি, ব্যক্তিগত জীবনেও বড়সড় বদল এনেছিল। সবকিছুর সূত্রপাত ‘জুর্ম’ ছবির হাত ধরে।

meenakahi kumar sanu

ছবির নায়িকা মীনাক্ষী শেশাদ্রির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কুমার শানু। ‘যব কোয়ি বাত বিগড় যায়ে’ গানটি শুনেই গায়ককে ভাল লেগে যায় অভিনেত্রীর। রাখঢাক না করে শানুকে প্রেম নিবেদনও করে বসেছিলেন তিনি। সুন্দরী মীনাক্ষীকে ফিরিয়ে দেননি কুমার শানু।

তখন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে দশ বছরের বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করে ফেলেছেন কুমার শানু। তার মধ্যেও আবার লুকিয়ে তিন বছর পরকীয়া চালান মীনাক্ষীর সঙ্গে। উল্লেখ্য, গায়কের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে তাঁর স্ত্রীর বিষয়েও সবটা জানতেন অভিনেত্রী। সব জেনেশুনেই এগিয়েছিলেন তিনি।

kumar sanu meenakshi

 

কিন্তু তাঁদের এই লুকোচুরি একদিন ধরা পড়ে যায় আর তা ওঠে শানুর স্ত্রীর কানে। চুপ থাকেননি রীতা। মীনাক্ষীকেই দোষী ঠাউরে সর্বসমক্ষে ফাঁস করে দেন কুমার শানু এবং তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের কথা। সে সময়ে ইন্ডাস্ট্রি ছিল অন্য রকম। সংসার ভাঙার অভিযোগে ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়তে থাকেন মীনাক্ষী।

এক সময়ে সমস্ত পরিচালক প্রযোজকদের দরজা তাঁর মুখের উপরে বন্ধ হয়ে গেলে তিনি বিয়ে করেন আমেরিকার একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারকে। অভিনয় জগৎ থেকে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে ফেলেন তিনি। সংসার বাঁচাতে পারেননি কুমার শানুও। কেরিয়ার বেঁচে গেলেও বিয়েটা ভেঙে যায় তাঁর। দ্বিতীয় বার সালোনিকে বিয়ে করেন কুমার শানু।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর