প্রথম থিমের জন্ম কুমোরটুলিতেই! সুভাষচন্দ্রের সভাপতিত্বে গড়ে ওঠা সেই পুজোর ইতিহাস জানেন ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী শনিবার মহালয়া। পিতৃ পক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হবে মাতৃ পক্ষের। ইতিমধ্যেই মায়ের আরাধনায় তৈরি বাঙালি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, বারোয়ারি কিংবা বনেদি বাড়ি, সর্বত্র দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। কলকাতা শহরে বেশ কিছু পুজো রয়েছে যার সাথে জড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্য ও ইতিহাস।

কুমারটুলি সর্বজনীন এমনই একটি পুজো। বলা যেতে পারে এই পুজোটি দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পুজো। ১৯৩৮ সালে কুমারটুলি সর্বজনীনের সভাপতি হন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সে বছর নেতাজির ভাবনায় নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল এই পুজোর। সেই থেকে আজও এই পুজো মণ্ডপ সুভাষচন্দ্র বসুর ভাবনা স্মরণ করে চলেছে।

আরোও পড়ুন : বকেয়া DA’র দাবিতে কাজ বন্ধ! এবার কী তাহলে বেতন কাটা যাবে সরকারি কর্মচারীদের?

যে বছর নেতাজি সভাপতি হন সেই বছর পুজো শুরুর আগে পুড়ে যায় প্রতিমা। গোপেশ্বর পাল পঞ্চমীর রাতে মাত্র এক দিনেই তৈরি করেন নতুন প্রতিমা। সেই বছর এক চালা থেকে কুমোরটুলির দুর্গা পুজোর প্রতিমা পাঁচ চালার হয়ে যায়। গোপেশ্বর পালের হাতের ছোঁয়ায় আধুনিকতা স্পর্শ করে এই পুজোয়। শিল্পীর সত্তার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বাংলার শিল্পকলা।

আরোও পড়ুন : পরা যাবে না ছেঁড়া জিন্স-হাতকাটা জামা! জগন্নাথ ধামে এবার নয়া আইন জারি

কিন্তু সেই সম্পর্ক বর্তমানে চলে গেছে প্রযুক্তির আগ্রাসনে। কুমারটুলি সার্বজনীনের থিম লড়াই এবার সেই ভাবনাতেই। কুমোরটুরি সর্বজনীন ইতিহাস কিন্তু বেশ দীর্ঘ। কুমোরটুলি অঞ্চল প্রাচীনকাল থেকেই মূর্তি নির্মাণের জন্য বিখ্যাত। তবে ১৯৩৩ সালে প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হয় কুমোরটুলির নিজস্ব দুর্গা পুজো।

whatsapp image 2023 10 08 at 8.30.26 pm 2

সেই সময় কুমোরটুলির প্রতিমা নির্মাণ করতেন বিখ্যাত মৃৎশিল্পী গোপেশ্বর পাল। এরপর ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনের সভাপতির পদে বসানো হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। আজও এই বারোয়ারি পুজো বজায় রেখেছে নিজেদের সেই ঐতিহ্য। তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কাতারে কাতারে লোক জড়ো হন।

 

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর