বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আবহে শিরোনামে তৃণমূল-কুণাল ‘সংঘাত’। সম্প্রতি দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তাঁকে সরিয়েছে জোড়াফুল শিবির। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নাম বাদ দেওয়া হয়। শুক্র-সকালে ফের এক বিস্ফোরক পোস্ট করলেন এই দাপুটে রাজনীতিক।
আজ সকাল ৮টা নাগাদ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন কুণাল। সেখানে তাঁর শূন্যপদে আইপ্যাকের বর্তমান প্রধান পরামর্শদাতা প্রতীক জৈনকে (Pratik Jain) বসানোর ‘আর্জি’ জানান তিনি। তৃণমূলের (Trinamool Congress) সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হিসেবে দলকে আমার সবিনয় অনুরোধ, ‘অপদার্থ’ ও ‘দলবিরোধী’ কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সাংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য। দলের মঙ্গল হোক’।
.@AITCofficial সমর্থক হিসেবে দলকে আমার সবিনয় অনুরোধ, 'অপদার্থ' ও 'দলবিরোধী' কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সাংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য। দলের মঙ্গল হোক।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) May 3, 2024
তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র পদে আইপ্যাকের শীর্ষকর্তাকে বসানোর ‘অনুরোধ’ জানিয়ে কুণাল যে তৃণমূলের একাংশকে বিঁধতে চেয়েছেন তা একপ্রকার পরিষ্কার। দলের অন্দরে অনেকের অনুমান, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Abhishek Banerjee) নিশানা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ আর নয় গরম, দক্ষিণবঙ্গে এবার জেলায় জেলায় বৃষ্টি! কখন? সুখবর দিয়েই দিল হাওয়া অফিস
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের রণকৌশল ঠিক করতে আইপ্যাককে বাংলায় এসেছিলেন অভিষেকই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুঁদে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে-কেও নিয়ে আসেন তৃণমূল সেনাপতি। সেই সময় অভিষেক-পিকে জুটি নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও এখন সময়ের সঙ্গে সেই সমীকরণ অনেকটাই বদলেছে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে শোনা যায়, তৃণমূলের একাংশ আইপ্যাককে দিয়ে তৃণমূলের রণকৌশল তৈরির পক্ষে ছিল না। সেই তালিকায় কুণালের নামও ছিল বলে জল্পনা। যদিও এতদিন এই বিষয়ে সর্বসমক্ষে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। যদিও এর আগে আইপ্যাকের প্রাক্তন প্রধান পরামর্শদাতা পিকে-কে নিশানা করেছিলেন কুণাল। সেই কারণে অনেকের অনুমান, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র পদে আইপ্যাকের শীর্ষকর্তা প্রতীককে বসানোর ‘আর্জি’ জানিয়ে কার্যত তৃণমূল সেনাপতি অভিষেককেই বিঁধতে চেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দলের তরফ থেকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও গতকাল নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সৈনিক’ হিসেবেই বলেছেন কুণাল। পদে নয়, পথে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মন থেকে তৃণমূল করি। কেউ সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। দলীয় কর্মীদের এভাবে অপমান করা যাবে না। আমি পদে নই, পথে আছি। কুণাল ঘোষের কখনও পদের দরকার হয়নি’।