বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৮ ডিসেম্বর, দিনটি ছিল বঙ্গ রাজনীতির পটভূমিতে এক ঐতিহাসিক দিন। ফিরে যাওয়া যাক দুবছর আগে, ঠিক ওই দিনে। বাংলার শাসক দলের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ক্ষুন্ন করে এদিন পদ্ম ফুলে নাম লিখিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূলের অন্যতম প্রধান সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরই প্রাক্তন দলের পক্ষ থেকে ‘গদ্দার’ তকমা দেওয়া হয় বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
শুধু তাই নয় ১৮ ডিসেম্বর দিনটিকে তাই ‘কালো দিন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি শুভেন্দুর দলত্যাগের দুবছর উপলক্ষে গতকাল কাঁথিতে (Kanthi) ‘গদ্দারমুক্ত দিবস’ পালন করল বঙ্গের শাসকদল। উত্তর কাঁথির পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরে ব্লক তৃণমূলের (TMC) তরফে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
শুভেন্দু প্রসঙ্গে কী বললেন তৃণমূল মুখপাত্র? ভরা সভা থেকে এদিন নেতা বলেন ,”আগে আসানসোলের মানুষের কাছে গিয়ে নাকখত দিয়ে আসো। তারপর তোমার অন্য কথা শোনা হবে। আসানসোলে তোমার জন্য, তোমাদের জন্য যারা মারা গিয়েছে, তাদের জন্য সময় নেই তোমার? অমিত শাহর জুতো চাটার সময় আছে, কলকাতায় মিটিং করার সময় আছে, আর আসানসোলের নিহত-আহত মানুষজনের কাছে যাওয়ার সময় নেই?”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে (Asansol) শুভেন্দু অধিকারীর বক্তৃতা সভা শেষে কম্বল বিতরণকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সেদিনের সেই বিশৃঙ্খলা হঠাৎই রূপ নেয় মৃত্যুর। পদপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারান ৩ জন। এরপরই শুভেন্দুর গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন বঙ্গের শাসক দল। ১৮ ডিসেম্বর আসানসোল প্রসঙ্গকে টেনেই বিরোধী দলনেতাকে তোপ দাগেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
পাশাপাশি গতকাল দলের নেতা, কর্মীদেরও বার্তা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন , ”আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, কাজ না করলে দলে জায়গা নেই। সে দলীয় পদই হোক বা প্রশাসনিক পদ – কাজ করলেই পদ থাকবে, নাহলে যাবে। সুতরাং, সবাই কাজে মন দিন। কাজ দিয়েই মানুষের ভোট পেতে হবে।”