বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার বিকেলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি এবং কর সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার একধাপ এগিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কেন্দ্রের বকেয়া টাকা প্রসঙ্গে এদিন মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। ফলে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এক বৈঠককে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। দেশে করোনা পরিস্থিতি আবারো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় বুধবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেই বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই তিনি পেট্রোল-ডিজেলের কর সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধী রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেন। কেন্দ্র সরকারের দ্বারা পেট্রোল ও ডিজেলের কর কমানো হলেও বেশিরভাগ বিরোধী রাজ্যগুলি বর্তমানে কেন দাম কমায়নি, সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বভাবতই বিরোধী রাজ্যগুলির সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গ। আর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবারের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের তুলনায় পেট্রোলের উপর প্রায় 25% বেশি ট্যাক্স নিয়ে চলেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে 2021 সাল পর্যন্ত মোদি সরকার 17 লক্ষ 31 হাজার 242 কোটি টাকা শুধুমাত্র জ্বালানি থেকে আয় করেছে।” এছাড়াও তিনি কেন্দ্রের বকেয়া টাকা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, “কেন্দ্র সরকার অন্তত রাজ্যের বকেয়া টাকার অর্ধেক মিটিয়ে দিক।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে আরও একধাপ এগিয়ে তৃণমূল দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রের কাছে বাংলার 98 হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। যদি কেন্দ্র আমাদের সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেয়, তবে আমরা আগামী পাঁচ বছরে পেট্রোল ডিজেলের উপর মানুষের কাছ থেকে কোনরকম ট্যাক্স নেব না। ওরা আমাদেরকে পেট্রোল-ডিজেলের কর কমাতে বলছে কিন্তু বকেয়া মেটাচ্ছে না। এরকম চলতে পারেনা।” এছাড়াও তিনি এদিন আগামী 30 শে এপ্রিল জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল দলের আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেন।