বাংলাহান্ট ডেস্ক : উদ্বোধনের আগে থেকেই চর্চায় ছিল দিঘার জগন্নাথ মন্দির। কম বিতর্কও হয়নি এই মন্দিরকে ঘিরে, যা এখনো অব্যাহত। উদ্বোধনের দিনই সস্ত্রীক জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খোদ নিজের দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তবে এবারের বড় খবর, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নাকি পা পড়তে চলেছে আরো এক বিজেপি নেতার। বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও যাচ্ছেন মন্দির দর্শনে। সম্প্রতি এমনই দাবি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির দর্শনে সুকান্ত মজুমদার দাবি কুণালের (Kunal Ghosh)
দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনি চাঞ্চল্যকর দাবি করতে দেখা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। পালটা বিজেপি সাংসদ মন্তব্য করেছেন, এই মুহূর্তে তাঁর নাকি পূর্ব মেদিনীপুরে কোনো কর্মসূচিই নেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিষ্ফোরক দাবি কুণালের: বিতর্কের সূত্রপাত কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) একটি পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সূত্রের খবর: দীঘায় প্রভু জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রণাম করতে খুব শিগগিরই যাবেন সুকান্ত মজুমদার নামে এক সাংসদ। তাঁর দল পূর্ব মেদিনীপুরে একটি কর্মসূচি নিচ্ছে। সেই উপলক্ষ্য করে গিয়ে ফেরার পথে প্রভুকে দর্শন করে আসবেন।’ সঙ্গে তিনি আরো লেখেন, ‘যদি যান, বুঝবেন খবর ঠিক। যদি না যান, বুঝবেন তাহলেও খবর ঠিক। আগাম জানাজানি হওয়ায় আপাতত স্থগিত।’
কী বললেন বিজেপি সাংসদ: এরপরেই কানাঘুষো শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের তরফে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট বলেন, এখনো পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে কোনো কর্মসূচি তাঁর নেই। তৃণমূল এমন অনেক কিছুই বলে থাকে। কিন্তু তারপরেও জল্পনা থামছে না। কারণ জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়েই দলের একাংশের রোষের মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন : এক বছর আগেই ভারতে প্রবেশ, ঘুরেছেন বিভিন্ন রাজ্যে! সীমান্ত পেরোনোর আগে গ্রেপ্তার ৪ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
দিলীপের জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, তরুণজ্যোতি তিওয়ারিরা। সরাসরি নাম না নিয়ে পরোক্ষে কটাক্ষ শানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে কিছুদিন আগে সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট করে দেন, দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আর প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করার যাবে না। যা বলার দলের অভ্যন্তরে বলতে হবে।