বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে ঘটে চলেছে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা। বাদ পড়ছে না নাবালিকা এবং শিশুরাও। এসবের জেরে কার্যতই প্রশ্নের মুখে বাংলার নারী নিরাপত্তা। কিন্তু এরই মধ্যে বাংলার নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গে বড়সড় দাবি করতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও তাঁর সাফ দাবি, দেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত বাংলাই।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। পরপর এতগুলি ঘটনা স্বত্ত্বেও কেন আগে থেকে সতর্ক হয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ, কেন বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার পর টনক নড়ছে পুলিশের? এই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল মুখপাত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘ঘটনা আটকানোর ক্ষেত্রে যথাসম্ভব যা যা করার তা করছে প্রশাসন। বহু ক্ষেত্রেই খবর নিলে দেখা যাবে পুলিশ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক এই প্রক্রিয়া ইতিবাচক ফলই দিচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত বাংলা এমনি এমনি হয় না।’
রাজ্যে সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে বেআইনি অস্ত্রের ব্যবহার প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন প্রকাশ্যে বলেছেন অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার কথা। সব প্রশাসককেই এটা বলতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই কথা বলেছেন। কঠোরভাবে পুলিশ সেগুলো দেখছে। কিন্তু কারও যদি লাইনসেন্স থাকে, সেও যদি গুলি চালিয়ে বসে, তাহলে সেটা থামাতে যাবে কে? দুম করে কেউ কিছু করে বসলে পুলিশ সেটার তদন্ত করবে। যা যা করার পুলিশ নিশ্চিতভাবেই করছে।’
অতি সাম্প্রতিককালে রাজ্যজুড়ে সামনে এসেছে হাফ ডজনেরও বেশি ধর্ষণ কাণ্ড। অনেক ক্ষেত্রেই খুন বা মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার। নামখানা, হাঁসখালি, বোলপুর, মাটিয়া, ইংরেজবাজার, পিংলা, ময়নাগুড়ি, হরিশচন্দ্রপুর, একবালপুরের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। হাঁসখালি সহ আরও একাধিক ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতাদের। এই সুযোগে মাঠে নেমে শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী শিবির। এরই মধ্যে কুণাল ঘোষের এহেন বক্তব্যে যে কার্যতই তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর তা বলাই বাহুল্য।