বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাতভর টানা পাঁচ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি শেষে শনিবার সকালে গ্রেফতার হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi)। হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কৌস্তভকে। অন্যদিকে তরুণ নেতার গ্রেফতারির পর থেকেই ধুন্ধুমার বঙ্গে।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কৌস্তভের করা পালটা মন্তব্যের ভিত্তিতে বড়তলা থানায় দায়ের হয়েছিল লিখিত অভিযোগ। তার ভিত্তিতেই আজ গ্রেফতার করা হয়েছে কৌস্তভকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪A এবং ১২০৪ ধারায় কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হয়েছে গোটা রাজ্য। কংগ্রেস সহ কৌস্তভের পাশে দাঁড়িয়েছে বাম, বিজেপিও। এই আবহেই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নিজের ফেসবুক থেকে কুণাল বলেন, “কৌস্তভ অন্যায় করেছে। মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ওই ধরনের চরম কুৎসা বরদাস্ত করা যায় না। কিন্তু পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ঠিক হল না।”
পাশাপাশি কুণাল লেখেন, “আমাদের ছাত্রযুবরা কৌস্তভের অসভ্যতা বুঝে নিতে পারত। কিন্তু পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ঠিক হল না। এতে কৌস্তুভ প্রচার পাবে, বিরোধী শক্তির অশুভ আঁতাতের কুৎসিত রাজনীতির হাতিয়ার হবে, একাংশের মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারের মুখ হবে, কিছু মানুষের সহানুভূতি পাবে। গ্রেফতারকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করবে তারা।”
নেতার সংযোজন, “যেদিন পুলিশ সজলের বাড়ির দরজা ভেঙেছিল, আমি প্ৰতিবাদ করেছিলাম। পরে প্রমাণিত হয়েছে আমার প্রতিবাদ সঠিক ছিল। লাভ হয়েছিল সজলের। মধ্য কলকাতায় একটি ওয়ার্ড জিতেছিল বিজেপি। সেদিন পুলিশি অভিযানের ধরণ ছিল ভুল। আজও আমি কৌস্তুভের গ্রেফতারের বিরোধিতা করছি। এতে ওর এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক লাভ হবে। কৌস্তুভ অন্যায় করেছে। ও অপরিণত, অসৌজন্যের কথার প্রবণতা আছেই। কিন্তু তার জবাব রাজনৈতিকভাবে আমাদের ছাত্রযুবরা দিতে পারত। পুলিশি অভিযান ঠিক হল না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সজলের দরজা ভাঙার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল।”