বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার রাজনৈতিক মহলে এখন চর্চায় শুধুই মুর্শিদাবাদ। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে নবাবের জেলায়। বিএসএফ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অশান্তি, বিক্ষোভের খবর আসছে। এখনো পর্যন্ত ১১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে সেখানে। পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বদ্ধপরিকর। এর মাঝেই হঠাৎ বিষ্ফোরক অভিযোগ করে বসলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের অংশ কোনো কোনো কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাকে বদনাম করতে মুর্শিদাবাদে অশান্তি পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার।
মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুনানিতে শেষমেশ জেলায় সিএপিএফ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর স্পেশ্যাল বেঞ্চ। এদিন মামলা চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারী আদালতে বলেন, মুর্শিদাবাদ সীমান্তবর্তী জেলা এবং স্পর্শকাতর। সেখানকার মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।
বাংলাকে বদনাম করার অভিযোগ: শনিবারের শুনানিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার মুর্শিদাবাদ ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সাংবাদিকদেরর মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মিটিং, মিছিল থেকে প্রতিবাদ সবই হতে পারে। কিন্তু বাংলাকে বদনাম করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে গণ্ডগোল পাকানো হচ্ছে। যারা গণ্ডগোল করেছে তাদের মূল পাণ্ডাদের স্থানীয় মানুষ চিনতে পারছে না। যারা অশান্তি করেছে শুধু তাদেরই আটকাচ্ছে।
আরো পড়ুন: কম খরচে ফার্স্ট ক্লাস চিকিৎসা পরিষেবা, পুজোর আগেই শহরে খুলে যাচ্ছে ‘বাজেট হাসপাতাল’
বিএসএফের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ কুণালের: তৃণমূল নেতা আরো অভিযোগ করেন, বিএসএফ এর একাংশের মদতেই বাংলায় হামলাকারীরা ঢুকছে, হামলা করে আবার পালিয়ে যাচ্ছে। কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো কোনো অংশ কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিংবা সেই এজেন্সির পরিচালনায় একটি গোপন ব্লু প্রিন্টের মাধ্যমে বিএসএফের একাংশের মারফতে ঢোকানো হয়েছিল দুষ্কৃতীদের। গণ্ডগোল করিয়ে আবার তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কুণাল (Kunal Ghosh)।
আরো পড়ুন : ভাগ হয়ে যাবে বাংলাদেশ? মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি দিলেন সেনা প্রধান, স্পষ্ট জানালেন….
সবটা বিজেপির এজেন্ডা বলে মন্তব্য করতে দেখা যায় কুণালকে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এই অভিযোগ সঠিক কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিত। উল্লেখ্য, কোনো রকম রাজনৈতিক প্ররোচনা বা উসকানিতে পা না দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে সতর্ক করা হয়েছে আগেই। এবার কুণাল ঘোষও বললেন, প্ররোচনায় পা না দেওয়াই উচিত।