বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেই জল্পনা সত্যি করে সোমবার তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়। দল এবং বিধায়ক, দুই পদ থেকেই ইস্তফা দিলেন তিনি। তার আগে আজ সকালে মান ভাঙাতে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)! ব্রাত্য বসুর সঙ্গে তাপস রায়ের বৌবাজারের বাড়িতে উপস্থিত হন তিনি। দলের দু’টি পদ থেকে ইস্তফা দিলেও দলের হয়েই তিনি তাপসের বাড়ি গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
তাপস রায়ের (Tapas Roy) বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসে যখন তিনজন কথা বলছেন, সেই সময়ই কুণালের কাছে আসে দলের ‘শোকজ লেটার’ (Show Cause Letter)। কয়েকদিন ধরেই কুণালকে শোকজ করার জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। তৃণমূল নেতা বলেছিলেন, তাঁকে যদি শোকজ করা হয় তাহলে তিনি সেটি প্রেমপত্রের মতোই গ্রহণ করবেন। অবশেষে ‘প্রেমপত্র’ পেয়েই গেলেন কুণাল!
আজ কুণাল এবং ব্রাত্য বেরিয়ে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘শোকজ লেটারে’র বিষয়টি জানান তাপস রায়। এদিন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অভিমান কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। সেই সঙ্গেই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তাপসের মুখে দলত্যাগের কথা শুনে পরিষ্কার হয়ে যায় ব্রাত্য-কুণাল আসলেও বরফ কিন্তু গলেনি।
এদিকে তাপসের বাড়িতে থাকাকালীনই দলের পাঠানো ‘শোকজ লেটার’ হাতে পান কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এই চিঠি পাঠিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তাপস রায় বলেন, ‘এই দলে যাঁদের সাসপেনশন হওয়ার কথা, শোকজ করার কথা, বহিষ্কার করার কথা তাঁরা বহাল তবিয়তে আছেন’।
আরও পড়ুনঃ ‘পেন ঢুকিয়ে …’! মহিলার ওপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচার, ঘটনা শুনলে শিউড়ে উঠবেন
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন কুণাল ঘোষ। এরপর দলের মুখপাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ভুবনেশ্বরে এইমসে ভর্তি থাকাকালীন সুদীপের চিকিৎসার খরচ কে বহন করেছিল এই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপর থেকেই কুণালকে শোকজের জল্পনা মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। সোমবার সেই চিঠিই পাঠানো হয়েছে বলে খবর।