বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার গোয়ার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত আইএসএল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি’কে পরাস্ত করে জয়লাভ করে সবুজ-মেরুন এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। খুশির মেজাজে যখন দল ও দলের সমর্থকরা ঠিক সেই সময়ই আরেক খবর নিয়ে হাজির এটিকে মোহনবাগান ক্লাবের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। হঠাৎই ঘোষণা করেন এই ক্লাবের নাম পরিবর্তন করা হবে। বলা হয়, পরের মরশুম থেকে দলের নয়া নাম হতে চলেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস (Mohun Bagan Super Giants)।
এদিনের ম্যাচ শেষে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, ‘এই ঘোষণাটি বিগত কয়েকদিন ধরেই করার জল্পনা চলছিল। অবশেষে এই জয়ের পর সেই সুযোগটা আমাদের কাছে চলে এল। আমরা সবাইকে এই ব্যাপারে অবগত করতে চাই।’ অন্যদিকে, ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এরপরই সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে চৰ্চা।
নিজের করা ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘কারা বলছিল, এটিকে সরাতে কর্মসমিতি কিছু করছে না? কারা বলছিল শুধু পদে বসে আছি? আজ সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বলব, মনে রাখবেন, সহ সভাপতি হিসেবে প্রথম বৈঠকে আমিই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে সরানোর আলোচনার দরজা খোলার কথা বলি। কর্মসমিতি সম্মত হয়। তারপর থেকেই প্রক্রিয়া চলছিল।’
কুণালের কথায়, “সঞ্জীববাবু নিজে একজন মোহনবাগানি। আজকের কর্পোরেট যুগে এত খরচ করেন ক্লাবে, তাকে অপমান করে এই কাজটা হত না। আলোচনা ঠিক পথেই এগিয়েছে। ক্লাবের স্পোর্টস লাইব্রেরি উদ্বোধনের দিনও আমি বলেছিলাম, সঞ্জীববাবু নীতিগতভাবে রাজি। আমরা ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছি। তারপরও মোহনবাগানি পরিচয় দিয়ে কয়েকজন অসভ্যতা করেছে। কুৎসিত আক্রমণ করেছে। মাঠ বয়কটের কথা বলে অকারণেই ৯৯.৯৯ শতাংশ মোহনবাগান সমর্থককে অপমান করেছে কেউ কেউ।”
নেতার সংযোজন, “এটিকে নাম এসেছিল আমি বা কয়েকজন পদে আসার আগে। আমরা স্পনসরকে ঠিক রেখে এটিকের বদলে বিকল্প শব্দের চেষ্টা করেছিলাম। আজ নতুন কমিটির সেই চেষ্টা সফল হল। এটিকে সরল। মোহনবাগান পরিবার খুশি। সঞ্জীববাবুকে আবার ধন্যবাদ। স্বাগত মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস।”
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই দলের সমর্থকেরা মোহনবাগান নামের সামনে থেকে এটিকে শব্দ সরানো দাবি জানিয়ে আসছেন। এই নিয়ে রিমুভ এটিকে অভিযানও চালাচ্ছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার শেষে প্রায় তিন বছর পর অবশেষে দলের নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে সমর্থকেরা উচ্ছাসিত হলেও নতুন নাম ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন।