বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বিগত কয়েক বছরে জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে ভাষণ দেওয়া হোক বা লোকসভায় দাঁড়িয়ে ঝাঁঝালো বক্তৃতা, সবেতেই তুখোড় তিনি। সেই অভিষেককে ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই চর্চা চলে। এবার বড় ইঙ্গিত দিলেন শাসকদলের নেতা কুণাল ঘোষ নিজে।
‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে অভিষেক’ (Abhishek Banerjee)!
সদ্য চোখের অপারেশন সেরে কলকাতা ফিরেছেন তৃণমূল সেনাপতি। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই ফের কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়বেন। এর মাঝেই তাঁকে নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) একটি দীর্ঘ পোস্ট করলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কুণাল। লিখলেন, ‘সময়ের নিয়মে মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে অভিষেক’।
রাত পোহালেই @abhishekaitc এর জন্মদিন।
খুব ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, চোখের সমস্যাটা একদম ঠিক হয়ে যাক। কম বয়সেই যোগ্য নেতৃত্বের যে ছাপ অভিষেক রাখছে, সময়ের সঙ্গে তা আরও ব্যাপকতর হতে থাকুক।
আমি নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, এই উদীয়মান তারকার উপর গুরুত্বসহ নজর রাখবই।… pic.twitter.com/tw71XSUnoj— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 6, 2024
কুণাল (Kunal Ghosh) লেখেন, ‘রাত পোহালেই অভিষেকের জন্মদিন। খুব ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, চোখের সমস্যাটা একদম ঠিক হয়ে যাক। কম বয়সেই যোগ্য নেতৃত্বের যে ছাপ অভিষেক রাখছে, সময়ের সঙ্গে তা আরও ব্যাপকতর হতে থাকুক। আমি নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, এই উদীয়মান তারকার উপর গুরুত্বসহ নজর রাখবই’।
আরও পড়ুনঃ পরপর তিনবার! ফের পিছোল আরজি কর মামলার সুপ্রিম শুনানি! কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
কুণাল নিজের পোস্টে লিখেছেন, বয়সের নিরিখে ছোট হলেও, তিনি যতদিন তৃণমূলে থাকবেন, ততদিন অভিষেক তাঁর নেতা। এর বাইরে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে স্নেহ করেন, ভালোবাসেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেকের (Abhishek Banerjee) তারিফ করে কুণাল লেখেন, ‘মমতাদিকে দীর্ঘকাল দেখেছি, এখন অভিষেককেও দেখছি। দ্রুত আরও পরিণত। আবেগের সঙ্গে মিশছে আধুনিক পদ্ধতি, প্রযুক্তি। আরও ধারালো হচ্ছে অভিষেক। সময়ের নিয়মে মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে অভিষেক, তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি থেকে যুগান্তরের পতাকায় কাণ্ডারি। মমতাদির ঘরানার সময়োপযোগী ধারক ও বাহক। মমতাদির নেতৃত্বে চলতে থাকুক, আর তার মধ্যেই আগামী পদধ্বনি হতে থাকুক বাংলার রাজনৈতিক সামাজিক চালচিত্রে’।