বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিলিগুড়িতে বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধনকে ঘিরে এবার শাসক দলের অন্দরেই কোন্দল দেখা দিল। সরাসরি তরজায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও শিলিগুড়ির মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব (Gautam Deb)। এই নবনির্মিত চুল্লির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কুণাল ঘোষের চিঠিতে প্রবল চাপে মেয়র গৌতম।
ইতিমধ্যেই, কুণাল ঘোষের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চুল্লি উদ্বোধনের ফলক যেন খুলে ফেলা হয়। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে একটা বৈদ্যুতিক চুল্লিকে কেন্দ্র করে শাসক দলেরই দুই নেতার মধ্যে বাদানুবাদের কারণ কী ? জানা গিয়েছে, ফলকে এই চুল্লি তৈরির সমস্ত ‘কৃতিত্ব’ পুরনিগমকে দিয়েছেন মেয়র।
এদিকে, কুণাল ঘোষের বয়ান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের অনুরোধে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ৬১ লক্ষ টাকা দেন এই চুল্লি নির্মাণ প্রকল্পে। সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন। অথচ, মেয়র গৌতম দেব তৃণমূলের মুখপাত্র ও সাংসদ কারোর নামই উল্লেখ করেননি। নিয়ম অনুসারে, সাংসদ তহবিলের টাকা নিলে তা উল্লেখ করা দরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিলিগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাট। সেখানে চারদিন আগে দ্বিতীয় চুল্লির উদ্বোধন হয়। ফেসবুকে এই চুল্লি উদ্বোধনের ছবি শেয়ার করেন গৌতম দেব। লেখেন, ‘শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১,৫৩,৫৩,৯৭৩.০০ টাকা অর্থানুকূল্যে কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে নবনির্মিত ২য় বৈদ্যুতিক চুল্লির শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।’
সূত্রের দাবি, গৌতম দেবকে লেখা ওই চিঠিতে কুণাল নাকি লিখেছেন, ‘আমি উত্তরবঙ্গে ভোটে দাঁড়াতে যাব না। কিন্তু সাংসদ হিসাবে আমি কী কী কাজ উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য করেছিলাম তা জানার অধিকার সেখানকার মানুষের আছে।’ সূত্রের খবর, উদ্বোধনের যে ফলকে শুধুমাত্র মেয়রের নাম রয়েছে, সেই ফলক অবিলম্বে খুলে ফেলার কথাও বলেছেন কুণাল।