বাংলাহান্ট ডেস্ক: তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। কয়েকজন নাকি সরাসরি মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন। বুধবার বিজেপির পার্টি অফিসে নিজেই এই দাবি করেছেন মহাগুরু। তারপরেই তৃণমূলের তরফে মিঠুনকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, সারদার সুবিধাভোগী। যতদিন রাজ্য সরকারের হাতে তদন্ত ছিল ততদিন একটা টাকাও ফেরত দেননি তিনি। ইডি কলার চেপে ধরতেই টাকা ফেরত দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কুণাল ঘোষ দাবি করেন, অ্যালকেমিস্টের মামলাতে গ্রেফতার হওয়া উচিত মিঠুনের।
এদিন দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সারেন মিঠুন। তারপর মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। পদ্ম শিবিরের মহাতারকা সদস্য বলেন, “আপনাদের জন্য একটা ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছি। তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক লুকিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে থেকে ২১ জন সরাসরি আমার সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন”।
মিঠুন একটা উদাহরণ টেনে বলেন, যখন মুম্বইয়ে ছিলেন তখন একদিন শুনেছিলেন যে বিজেপি আর শিবসেনার মিলিত সরকার গঠন হবে। মহারাষ্ট্রে হতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন? সেই সঙ্গে মহাগুরুর মন্তব্য, একটা সিনেমা মুক্তি পাওয়ার আগে তার মিউজিক রিলিজ হয়, তারপর ট্রেলার, সবশেষে সিনেমা। আজ তেমনি মিউজিক রিলিজ হয়েছে।
মিঠুন আরো বলেন, যদি স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন হয় তাহলে কালই এ রাজ্যে সরকার গড়বে বিজেপি। যদিও মিঠুনের বক্তব্যকে আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মাঝে মাঝে শহরে এসে প্রচার পাওয়ার জন্য এসব বলে থাকেন মিঠুন। নির্বাচনী স্বচ্ছতার প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, আগে জ্বালানি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, জিএসটি এসব নিয়ে আলোচনা হোক। এক বছরের মধ্যে নির্বাচনের কথা পরে হবে।