বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন কয়েক আগে হওয়া সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi Bypoll) শাসকদল তৃণমূল (Trinamool) কংগ্রেসকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস (Byron Biswas)। এ রাজ্যে কংগ্রেসের সদ্য নির্বাচিত একমাত্র বিধায়ক তিনি। অন্যদিকে, আজ তার শপথ গ্রহণের আগেই বায়রনকে গ্রেফতার করার দাবি তুলে সরব তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কেন? মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় জৈনকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বায়রনকে গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কং নেতাকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল বলেন, “অবিলম্বে বায়রন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করতে হবে। প্রয়োজনে শপথের জন্য বিধানসভা যাওয়ার পথে ওনাকে গ্রেফতার করা হোক। উনি তৃণমূল নেতাকে মা ও বোন তুলে যে কথা বলেছেন তারপর উনি মুক্তভাবে ঘুরতে পারেন না।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের দিন তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈন বোখারার এবং ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মেহেবুব আলমের বিরুদ্ধে একটি বুথের ভিতর প্রবেশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরেই অভিযোগ পেয়ে ওই দুই নেতার ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বায়রন।
ফোন করে বায়রন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সঞ্জয় জৈনকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সেই দিনের একটি ওডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে বায়রনকে গালিগালাজ করতে শোনা যাচ্ছে।এরপরই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন বায়রন সহ কংগ্রেস ও বামকে একজোটে নিশানা করে কুণাল ঘোষ।
বায়রনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে প্রশ্ন করেন কুণাল। তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি কি বায়রন বিশ্বাসের মন্তব্যের সমর্থন করেন? যদি না করেন, তাহলে ক্ষমা চান। অন্যথায় ধরে নিতে হবে, আপনারা ওনার মন্তব্যের সমর্থক।” পাশাপাশি এদিন বামেদেরও ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন তৃণমূল মুখপাত্র।