দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জিতে বিজেপিকে তোপ কুণাল ঘোষের, বাদ গেলেন না রাজ্যপালও

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার বাংলার দুটি উপনির্বাচন কেন্দ্রের ফলাফলের দিকে যে সকল রাজ্যবাসীর নজর ছিল, তা বলাবাহুল্য। একদিকে যেমন বিজেপির ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত আসানসোলে তৃণমূলের হয়ে বলিউড সুপারস্টার শত্রুঘ্ন সিনহার ডেবিউ ‘ম্যাচ’ ছিল, ঠিক তেমনি ভাবে সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ যাওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস দল। এবং শেষপর্যন্ত দুই উপ নির্বাচন কেন্দ্রে শাসকদলের বিপুল জয়ের পর স্বভাবতই তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী থেকে দলের সকল নেতা-কর্মী ও সদস্যদের উচ্ছ্বাসে ভেঙে পড়তে দেখা যায়। আর এর মাঝেই বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বসলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “জেতা আসানসোল তিন লাখে হার। বালিগঞ্জে জামানত জব্দ হয়ে তৃতীয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, মিডিয়ার সমর্থন, বিজেপির বড় বড় কথা সবই তো ছিল। কই, রাজ্যপালের টুইট কই? কই, শুভেন্দুর ডায়লগবাজি কই? কই, মালব্যর প্রলাপ কই? তৎকাল বিজেপির শোকসভা চলছে নাকি? নীরবতা পালন?”

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলের আগেই ঘোষিত হয়ে যায় ফলাফল এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী, দুই কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করে রাজ্যের শাসক দল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যেখানে গতবার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে 75 হাজারেরও বেশি ভোটে জেতেন, সেখানে এবার বাবুল সুপ্রিয় জয়লাভ করলেও সেই অঙ্কের ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয় শেষপর্যন্ত 20228 ভোটে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করেন। সূত্রের খবর, মাত্র 13174 ভোট পেয়ে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের জামানত জব্দ হলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। এছাড়াও মাত্র পাঁচ হাজারের কিছু বেশি ভোট পাওয়া কংগ্রেস প্রার্থীরও জামানত জব্দ হয়। বিজেপি ও কংগ্রেস দলের এই বেহাল দশার মধ্যেই গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় প্রায় 30 শতাংশ ভোট বাড়িয়ে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বামেদের প্রাপ্ত ভোট 30818।

আবার, আসানসোল কেন্দ্র যেখানে এতদিন বিজেপির দুর্গ বলেই পরিচিত ছিল, সেখানেও এবারে ওঠে সবুজ ঝড়। বাকি সকল প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করে তিন লাখেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যদিও হারের পর বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ” আমাদের ভোটারদের ভোট দিতে যেতে দেয়নি তৃণমূল। তাছাড়া বালিগঞ্জেও আমরা সংখ্যালঘু ভোটারদের জন্য কোনোদিনই বেশি ভোট পাইনা।”

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর