বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) কোণঠাসা করতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এদিন একটি মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র আর এবার এই ইস্যুকে সামনে এনে তাঁকে ‘অরণ্যদেব গাঙ্গুলি’ বলে সম্বোধন করে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “যান যা পারেন করে নিন।”
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়ে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে সিবিআইকে একাধিক মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীক তুলে দেওয়ার বিষয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।
সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন কুণালবাবু বলেন, “আমরা বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। বিচারকরা বিচার করার জন্যই রয়েছেন। কিন্তু তারা কখনোই ব্যক্তিগত ইমেজ বিল্ডিংয়ের খেলায় নামেন না। যদি কারোর ভুল থাকে, ১০০ বার বলবেন। সরকারের ভুল কিংবা প্রভাবশালীর ভুল থাকলেও বলা উচিত। কিন্তু দল তুলে দেব, এটা আবার কি?”
সম্প্রতি তৃণমূলের এক মুখপাত্রকে ‘দালাল মুখপাত্র’ বলে কটাক্ষ করেন অভিজিৎবাবু। এদিন সেই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের দলে অনেকেই মুখপাত্র, যার মধ্যে আমি একজন। আমিও বর্তমানে কারোএ নাম করে কিন্তু বলছি না। আমি ধরছি অরণ্যদেব গাঙ্গুলি। যদি কেউ আমাদের দল তুলে দেওয়ার কথা বলে, তাহলে আমি কি তাকে রসগোল্লা খাওয়াবো? যা ক্ষমতা আছে করে নিন।”
নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “জট খোলার চেষ্টা করা হয়ে চলেছে। আন্দোলনকারীদের সাথে বসে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে আর আপনি হিরো সেজে দালাল মুখপাত্র বলে চলেছেন। বিচারকের আসনের অপব্যবহার করছেন আপনি। আসলে অবসরের পর রাজনীতি করার জন্য যে জমির দরকার পড়ে, তাই তৈরি করছেন। দল তুলে দেবেন, এটা আবার কি?”
উল্লেখ্য, এদিন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন অভিজিৎবাবু জানান, “এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে যা গোটা ভারতবর্ষে এর আগে কখনো নেওয়া যায়নি। বর্তমানে আমার সন্দেহ হচ্ছে গণতন্ত্র ঠিক হাতে নেই। প্রয়োজন পড়লে গোটা ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেওয়া হবে।”
এরপর বিতর্ক বাড়িয়ে তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে বলব, তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী প্রতীক প্রত্যাহার করা হোক। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যাবে, তা অনুচিত।” আর এবার অভিজিৎবাবুকে পাল্টা কটাক্ষ করে বসলেন কুণাল।