বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন আচমকাই এক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর দাবি, “তৃণমূলের অন্দরে বিজেপির ‘চর’ রয়েছে।” তাঁর এই বক্তব্যের পর শোরগোল পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। যদিও এই বক্তব্যের পাল্টা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
সম্প্রতি রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “আমাদের বিজেপি দলে তৃণমূলের অনেক চর রয়েছে। প্রতিদিন দলের ক্ষতি করে চলেছে তারা। এই সকল নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” অতীতে কুণাল ঘোষের একটি বক্তব্য তাঁর সেই দাবিরই সত্যতা প্রমাণ করে যেখানে তিনি বলেন, “বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বৈঠকে যা আলোচনা করেন, তা আমরা এক মুহূর্তে জেনে যেতে পারি।”
আর এই প্রসঙ্গ মাঝেই এদিন সুকান্ত মজুমদার উল্টে তৃণমূল দলে বিজেপির ‘চর’ থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করলেন। এদিন সুকান্তবাবু বলেন, “প্রতিটি দলেই অপর দলের কিছু লোক থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের দলেরও কিছু মানুষ শাসকদলে রয়েছে, যারা সেই দলের খবর প্রতিনিয়ত আমাদের দিয়ে চলেছে।” স্বভাবতই তাঁর এই মন্তব্যের পর শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।
পরবর্তীতে আসরে নামে ঘাসফুল শিবির। বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “উনি রাজনীতিতে শিক্ষানবিশ। মাঝে মাঝে এমন কথা বলে ফেলেন, যার কোনো মানে নেই। তাই আমরা ওকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। চাপের মুখে সুকান্তবাবু এই কথা বলেছেন।” তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে কথার লড়াই চলছে। একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য এহেন মন্তব্য করে চলেছে। অবশ্য একজন ব্যর্থ রাজ্য সভাপতির কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।”