বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে এবার নারদকাণ্ড নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কুণাল। কী আছে তাতে? শুভেন্দুর করা একটি ভিডিয়োই পোস্ট করে শুভেন্দুকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুললেন। পাশাপাশি নিরপেক্ষতা নিয়েও সিবিআইকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেতা।
বিরোধী দলনেতার কথাকে হাতিয়ার করেই এবার ময়দানে নেমেছেন কুণাল। শুক্রবার টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন কুণাল। যেই ভিডিওতে শুভেন্দুকে প্রকাশ্যে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আড়াই বছর ধরে সাঁতার কেটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমার বিরুদ্ধে। হাঁপিয়ে গিয়েছেন। আমাকে বিচারব্যবস্থা সুরক্ষা দিয়েছে। কারণ, মিথ্যে অভিযোগ উঠেছে। আমি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছাত্রনেতা হিসাবে ১৯৮৮-এ রাজনীতি শুরু করি। ১৯৯৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, আপনারা যা-ই বলুন না কেন, ওই নারদ স্টিং অপারেশন ছাড়া আমার বিরুদ্ধে প্রমাণিত কোনও অভিযোগ নেই।’’
ভিডিওতে শুভেন্দুকে নিজের মুখেই বলতে শোনা যাচ্ছে যে তার বিরুদ্ধে নারদা স্টিং অপারেশনের প্রমান রয়েছে। শুভেন্দুর বলা এই একটি লাইনকে হাতিয়ার করে আসরে কুণালবাবু। সমাজমাধ্যমে কুণাল শুভেন্দুর কথা উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘‘‘নারদা ছাড়া আমার বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগ নেই।’ প্রমাণিত! নিজের মুখেই। তা হলে গ্রেফতার নয় কেন? সিবিআই কী করছে? এটা নিরপেক্ষতা? আর সারদা?’’
এরপর কুণালের আরও দাবি, তদন্ত হচ্ছে না বলেই এত কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন শুভেন্দু। আর এই সুযোগের জন্য দল বদল করেছেন বিরোধী দলনেতা। তার কথায়, “তদন্ত হচ্ছে না বলেই তো বড় বড় কথার সুযোগ। সেই ভয়েই তো দলবদলু হয়ে বিজেপিতে। সিবিআই ধরবে না জেনেই এই মেকি বীরত্ব।’’
প্রসঙ্গত, একের পর এক কেলেঙ্কারির অভিযোগে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম জড়ানোয় একেই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, পাল্টা বিরোধীদের দিকে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন তারা। ঠিক সেভাবেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গতকাল দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপির শুভেন্দু, দিলীপ ঘোষদের।
অন্যদিকে, কুণালবাবুর টুইটের কয়েক মিনিট পর বড়সড় বোমা ফাটালেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কাকতালীয়ভাবে তার আক্রমণেও উঠে এল সেই তিনটি নামই। কীভাবে জেল হেফাজতে থাকা পার্থ প্রায় একইসুরে একই নামগুলি তুলে আধ ঘণ্টারও কম ব্যবধানে তোপ দাগলেন বিরোধীদের?। এই ইস্যুতে এদিন শাসকদলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই কথার মাঝে একসময় তিনি বলেন, ‘নারদা স্টিং অপারেশন ছাড়া আমার বিরুদ্ধে প্রমাণিত কোনও অভিযোগ নেই।’ যদিও এদিন কুণাল ঘোষের করা মন্তব্যের কোনো জবাব দেননি বিরোধী দোলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘কুণাল জেলখাটা আসামি। তিন বছরের আসামির কোনও বক্তব্যের জবাব বিরোধী দলনেতা দেন না। তাঁর দফতরও দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না।’’