বাংলাহান্ট ডেস্ক : এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট। উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনীতি। শহিদ স্মরণ কর্মসূচি ঘিরে তৃণমূল-বিজেপির টানাপোড়েনের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয় ঘিরে বুধবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তর অভিযোগ করেন, ‘ন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কনভয় নিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, ওই গাড়িতে করে বাইরে থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও বেআইনি অস্ত্র ঢুকছে নন্দীগ্রামে। বিজেপিতে যে ভাঙন শুরু হয়েছে তা আটকাতেই বাইরে থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে এসে পাড়ায় পাড়ায় ছড়াতে শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা। টাকা ছড়িয়ে দল ছেড়ে যেতে চাওয়া কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করছে লোডশেডিংয়ে জেতা বিজেপি নেতা।’
তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, ‘পুলিসকে বলব, নাকা চেকিংয়ে শুভেন্দুর কনভয় আটকে মাঝে মধ্যেই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হোক। তা হলেই প্রমাণ হয়ে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকা কনভয়ের সুবিধা নিয়ে কীভাবে বেআইনি পাচারচক্র চালাচ্ছে শুভেন্দু।’ সারা দিন নানা দলীয় বৈঠক ও জনসভা ব্যস্ত কুণাল ঘোষ। এরই মাঝে পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক সামাজিক কর্মসূচিতেও যোগ দেন তৃণমূল মুখপাত্র। তবে এর পাশাপাশি প্রতিটি সভা ও সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুকে নানা বিষয়ে আক্রমণ করতে ভোলেন নি তিনি।
এদিকে বিরোধী দলনেতা রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বোঝাতে বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যের ৮০ শতাংশই আমাকে নিয়ে থাকছে।’ সাংবাদিকদের কাছে বিরোধী নেতার এমন মন্তব্য শুনে পাল্টা জবাব দেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘ওকে শুনতে হবে কারণ, তৃণমূলে থাকার সময় জেলায় ৮০ শতাংশ পদ ও ক্ষমতা অধিকারীরা ভোগ করেছে। নিজে ও বাপ-ভাই সব লুটেপুটে খেয়েছে, তাই ওদের কুকীর্তির কথা তো শুনতেই হবে।’
এদিন সকালে কাঁথির মুকুন্দপুর বাজারে একটি চা-চক্রে যোগ দেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। অনেক সাধারণ মানুষের নানা প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি। এই চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানাও। এরপর কুণালবাবু যান বসন্তিয়া মক্তবে। সেখানে পতাকা তুলে বক্তব্য রাখেন তিনি। তারপর সোজা চলে যান রঘুরামপুরের রেডসান ক্লাবে, সেখানেও জনতার অনুরোধে বক্তব্য রাখতে হয় তাঁকে। এরপর জুনপুটের আলদারপুর বাজারে গিয়েও সভা করেন। ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। এরপর কাঁথি ফিরে দলীয় একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক সেরে পৌঁছন পটাশপুরের বিশাল জনসভায়।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…