বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রসঙ্গে ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করে বসেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অখিল গিরি (Akhil Giri)। পরবর্তীতে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকেও ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হয়। যদিও এক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী তথা আদিবাসী মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করলেও ক্ষমা চাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আর এবার তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলে এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এক্ষেত্রে বিরবাহার জুতো পালিশ করানোর হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন কুণালবাবু।
সম্প্রতি, দেশের রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন অখিল গিরি, যা কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। এক্ষেত্রে অখিল গিরির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমাপ্রার্থনা করলেও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে নামে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এক্ষেত্রে রাজ্যের মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে সরব হয় একাধিক মহল আর এর মাঝেই এবার বিরবাহা হাঁসদার উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্য ঘিরে পুনরায় একবার বিতর্ক ছড়িয়ে পড়লো গোটা বাংলায়।
উল্লেখ্য, গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ঝাড়গ্রামে রওনা দেওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারীর পথ আটকে দেয় বিরবাহা হাঁসদা এবং তাঁর সহযোগীরা। ঝাড়গ্রামে ঢুকতে না পারে ক্ষুব্ধ হন শুভেন্দু এবং পরবর্তীতে তিনি বলেন, “যারা বসে আছে, তারা শিশু। এই বিরবাহা, দেবনাথ হাসদা এরা শিশু। আমার জুতার নীচে থাকে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এহেন বক্তব্যকে প্রকাশ্যে এনে তৃণমূলের প্রশ্ন, “রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অখিলের মন্তব্যের জন্য প্রতিবাদে সামিল হন বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ক্ষমা চাইতে হয়েছে। তাহলে শুভেন্দুর বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য কেন ক্ষমা চাইবেন না তিনি?”
গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়ারিতে একটি দলীয় সভায় উপস্থিত হয় শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “অখিলবাবু যা বলেছেন, তা সমর্থনযোগ্য নয়। দল ক্ষমা চেয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। কিন্তু বিরবাহার সম্পর্কে শুভেন্দু যে মন্তব্য করেছে, তার জন্য এখনো ক্ষমা চাওয়া হয়নি। ও যদি ক্ষমা না চায়, তাহলে ওকে দিয়ে বিরবাহার জুতো পালিশ করিয়ে ছাড়বো।”
যদিও এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “ভিডিওটা ভালো করে দেখুন। আমি ওনার পদবী পর্যন্ত নিই নি। একবারও মন্ত্রী বলিনি।” যদিও বিরোধী দলনেতার এহেন মন্তব্যের পরেও বর্তমানে বিতর্ক থামার কোনো লক্ষণই নেই।