বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রামপুরহাট কাণ্ড পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে যে এক বিশাল বিতর্ক সৃষ্টি করেছে তা অনস্বীকার্য। এবার এই বিতর্ক-এর মধ্যে দুই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং অনুব্রত মণ্ডল একে অপরের বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধে জড়ালেন। এর ফলে স্বভাবতই তৃণমূল দল যে অস্বস্তিতে পড়েছে, তা বলা যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক ঘটনাটি।
সম্প্রতি, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হয় এবং এরপর সেখানকার বহু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এবং এর ফলে বহু মানুষ প্রাণ হারান। এর পরেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীরা সকলে মিলে আক্রমণ করে তৃণমূল সরকারকে। এসবের মাঝে অনুব্রত মণ্ডল এই ঘটনাকে কেবলমাত্র ‘শর্ট সার্কিটের কারণে লেগে যাওয়া আগুন’ বলে সম্বোধন করেন। এতে বিতর্ক যে আরও বাড়ে তা বলা যায়।
ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটে যান এবং সেখানে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সেই সময় তাঁর পাশে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এবং সেই সময় তৃণমূল নেত্রীকে পরামর্শও দিতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে, “অনুব্রত মণ্ডল বড় নেতা এবং তিনি বেশি বোঝেন।” তৃণমূলের মুখপাত্র এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য-এ শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
এরপর এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “কে কুণাল ঘোষ?” এরপর সাংবাদিকরা তাঁকে কুণাল ঘোষের পরিচয় দিলে তিনি উত্তরে জানান যে, “কুণাল ঘোষ কি বলেছে, এ ব্যাপারে তিনি কিছু মন্তব্য করবেন না।” অনুব্রত মণ্ডল এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও তৃণমূলের এই দুই নেতার মধ্যে বাকযুদ্ধ যে এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, তা বলা যায়।