বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিআইয়ের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার (Tushar Mehta) বাড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari ) যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh) থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক সাংসদ প্রশ্ন তুলেছেন সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নারোদা মামলাকে কি প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু। এর জন্য সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার পদত্যাগও দাবি করেছেন তারা।
কিন্তু তুষার বাবু জানিয়েছিলেন শুভেন্দু সাথে কোনরকম সাক্ষাৎ করেননি তিনি বিনা অ্যাপোয়েন্টমেনটেই তার বাড়ি পৌছান শুভেন্দু অধিকারী। যার জেরে তাকে বসিয়ে চা পান করান আধিকারিকরা। কিন্তু সরাসরি তুষারবাবুর সাথে তার দেখা হয়নি।
এবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতে বিনা অনুমতিতে ঢোকার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির গেটে তাকে আটকান নিরাপত্তারক্ষীরা। সাথে সাথেই নিজের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের কার্ড বের করে নিরাপত্তারক্ষীদের দেখান কুনাল। কিন্তু তারপরেও ঢোকার অনুমতি মেলেনি। প্রশাসনের তরফে তাকে জানানো হয়, যাদের মামলা রয়েছে একমাত্র তারাই বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন।
এই ঘটনার পরেই সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সলিসিটর জেলারেলের দেখা করা নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা মিথ্যে। সেটা প্রমাণ করতেই আমি এইদিন বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টে তুষার মেহেতার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করি।” ঘটনার প্রমাণ দেবার জন্যই যে তার এই সাজানো নাটক একথা মেনে নিতেও দ্বিধা করেননি কুনাল। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিনা অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কিভাবে সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়লেন? কীভাবেই বা তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হলো? এবং চা পান করার সুযোগ দেওয়া হল?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক ব্যানার্জিও (Avishekh Banerjee)। তিনি প্রশ্ন তোলেন, প্রায় ৩০ মিনিট ওই বাড়িতে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পরেও মানতে হবে মিটিং হয়নি? সিবিআইয়ের সলিসিটার জেনারেলের বাড়িতে প্রবেশ করা যে সহজ কাজ নয় এই ঘটনার মাধ্যমে আজ সেটাই প্রমাণ করেন কুনাল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এদিন তুষার মেহতার হাতে একটি চিঠি তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। প্রথমে তা নিতে চাওয়া না হলেও পরে অবশ্য তা গ্রহণ করা হয়।