বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো সরগরম জাতীয় রাজনীতি তখনই ফের একবার রাজ্য বিজেপিকেও অস্বস্তির মুখে ফেললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এবার তার আক্রমণের লক্ষ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu Adhikari)। সোমবার তমলুকে কার্যত নাম না করে পুলিশের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, এখানে যে এসপি কাজ করতে এসেছেন তিনি একজন বাচ্চা ছেলে। তার উদ্দেশ্যে তার বার্তা এসপি পদের অফিসার কেন্দ্র সরকারের অফিসার। তাই এমন কাজ করবেন না যাতে কাশ্মীরের অনন্তনাগ বা বারামুলায় গিয়ে ডিউটি করতে হয়। এই হুঁশিয়ারিতেই অবশ্য থামেননি শুভেন্দু। এসপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘‘ভাইপোর অফিস থেকে যাঁরা ফোন করেন তাঁদের প্রত্যেকের কল রেকর্ড আমার কাছে রয়েছে। তাই সতর্ক হন। আপনাদের কাছে যদি রাজ্য সরকার থাকে, তবে আমাদের হাতে রয়েছে কেন্দ্র সরকার।’’
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার আক্রমণ শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তার বক্তব্য এলওপি যার আক্ষরিক অর্থ লিডার অফ অপোজিশন প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তার কাছে তৃণমূল নেতাদের কল লিস্ট এবং রেকর্ডিং আছে। কুনালের মতে এটাই ফোনে আড়িপাতার প্রমাণ। তাই তার বিরুদ্ধে জেরা এবং তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পেগাসাস কান্ড নিয়ে এখন রীতিমত সরগরম রাজনীতি। এমনকি জানা গিয়েছে বাংলার নির্বাচনের আগে অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee) এবং প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) ফোনেও আড়িপাতা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই দুটি বিষয়কে কার্যত এক সুতোয় বাঁধতে চাইলেন কুনাল।
LOP ( Limitless opportunist) প্রকাশ্যে পুলিশকে বলেছে ওর কাছে আমাদের নেতার দপ্তরের ফোনের কল লিস্ট, রেকর্ডিং সব আছে।
এটা ফোনে আড়ি পাতার প্রমাণ।@MamataOfficial, @abhishekaitcর কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে তদন্ত শুরু করে ওর custody interrogationএর মাধ্যমে গোটা চক্রান্ত প্রকাশ্যে আনা হোক।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 20, 2021
এ দিন টুইটে তিনি লেখেন “এলওপি প্রকাশ্যে পুলিশকে বলেছে ওর কাছে আমাদের নেতার দফতরের ফোনের কল লিস্ট, রেকর্ডিং সব আছে। এটা ফোনে আড়ি পাতার প্রমাণ। মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ও অভিষেকের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে তদন্ত শুরু করে ওর জেরার মাধ্যমে গোটা চক্রান্ত প্রকাশ্যে আনা হোক।” প্রতি বেশ কিছু তদন্ত শুরু হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামে। তার ওপর তার এই বক্তব্য যে ফের তাকে সমস্যায় ফেলতে পারে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।