বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে দল থেকে বহিষ্কার নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম দুই অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee) এবং কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। একদিকে আদালতে চলছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা, ইডি হেফাজতে শান্তনু, কুন্তল। এরই মাঝে মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শাসকদলের (Trinamool Congress) তরফে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মুখপাত্র শশী পাঁজা (Shashi Panja) এই ঘোষণা করেন।
কুন্তল গ্রেফতারের ৫২ দিন পর, অন্যদিকে শান্তনুকে গ্রেফতারের ৫ দিনের মধ্যেই দলের বড় অ্যাকশন। জানিয়ে রাখি, দুজনেই হুগলীর যুব তৃণমূল নেতার পদে ছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এই প্রথম একজোটে বহিষ্কার করা হল রাজনীতির ময়দানে ‘দুই ভাই’ শান্তনু-কুন্তলকে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শশী পাঁজার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তথা শশী পাঁজা এই বহিষ্কারের ঘোষণা করেন। শশী পাঁজা বলেন, ‘‘আমরা বরাবর বলে এসেছি আমরা এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের রেয়াত করা হবে না।’’
তবে শশী এও বলেন, তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে তো কোনো টাকা উদ্ধার হয়নি। হয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে। তাই দলের এই নিয়ে কোনো দায় নেই। মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উল্লেখ্য, এই নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রকাশ্যে আসা তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করতে দেখা যায়নি শাসক দলকে। এখনও বিধায়কের পদেই রয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, কয়লা এবং গরু পাচার মামলার অন্যতম মুখ অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডললের বিরুদ্ধেও এখনও কোনো অ্যাকশন নেয়নি শাসকদল। তার বদলে একাধিকবার কেষ্টর পাশেই দাঁড়িয়েছে দল। এমনকী অভিযুক্ত অনুব্রতকে ‘বীর’ তকমাও দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।