বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate) অনেক আগে জানতে পেরেছিল যুব তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress) কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। নগর দায়রা আদালতে ইডির আইনজীবী শুক্রবার দাবি করেন, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে মোট লেনদেন হয়েছে ৬.৫ কোটি টাকা।
পাশাপাশি তদন্তকারী এও জানতে পেরেছে এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে টলিউডেও। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে শুরু করেছে। ইডির কাছে খবর আছে কুন্তলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে একাধিক টলিউড তারককার অ্যাকাউন্টে। শীঘ্রই এই তারকাদের তলব করবে ইডি। এর আগে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিল কুন্তলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। সেই সূত্রেই কুন্তল যুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে।
তদন্তকারীদের দাবি, শুধুমাত্র প্রোডাকশন হাউস থেকে শুরু করে মিউজিক ভিডিও তৈরি নয় বরং আস্ত একটি সিনেমা তৈরি করে ফেলেছিলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল। শুধুমাত্র বনি সেনগুপ্ত নয়, তদন্তকারী আধিকারীকরা মনে করছেন কুন্তলের টলিপাড়ার সাথে সম্পর্ক আরও গভীরে বলেই ৷ ফলে খুব শীঘ্রই সেইসব কুন্তল পরিচিত অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে ইডি দফতর সূত্রে৷
ইডি-র স্ক্যানারে এখন উঠে এসেছে টলিউডের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের নাম৷ ফলে, ইডি আধিকারিকদের মতে কালো টাকা সাদা করতেই টলিউডে পা-রেখেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। আজ আদালতে কুন্তলের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক বলেন, “কুন্তলের ব্যাঙ্ক থেকে যে টাকা লেনদেন হয়েছে তার উৎস জানাতে হবে।”
এরপর বিচারককে ইডির আইনজীবী বলেন, “তদন্তকারীদের কাছে কুন্তল স্বীকার করেছেন যে তিনি অসৎ উপায়ে টাকা পেয়েছিলেন।” তারপর বিচারক মন্তব্য করেন, “অবৈধভাবে ৫ কোটি টাকা রোজগার করে ২ কোটি টাকা আয়কর দিলেই তা বৈধ হয়ে যায় না।” এরপর বিচারক দুই পক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান টাকার উৎস কি। দুই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক স্থগিত রাখেন রায়দান।