বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘বাদাম কাকু’র পর ‘মাছ কাকু’ (Mach kaku), ভাইরালের (Viral) তালিকায় নতুন নাম জুড়েছিল কুশল বাদ্যকরের (Kushal Badyakar)। যদিও অচিরেই তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে ‘মাছ কাকু’ হিসাবে। বাদ্যকর পদবী আর গান বাঁধার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে তিনিও ভাইরাল হওয়ার শখ প্রকাশ করেছিলেন, ব্যবসায় লাভ বাড়ানোর আশায়। সে শখ ঘুচে গিয়েছে কুশল বাদ্যকরের। লাভ তো দূর, ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে তাঁর।
‘মাছ নেবেন দাদা মাছ নেবেন’ গান গেয়েই ভাইরাল হয়েছিলেন কুশল বাদ্যকর। দূর্গাপুরের শোভাপুর এলাকার বাসিন্দা কুশলবাবু। মাছ বেচেই চলে তাঁর সংসার। বা বলা ভাল চলত। কারণ ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নাকি ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর। এমন অবস্থা হয়েছে যে এখন বাড়ির বাইরে পর্যন্ত পা রাখতে পারছেন না কুশল।
ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে তাঁর। মাছ কাকু হিসাবে পরিচিতি বেড়েছে তাঁর। এখন যেখানেই যাচ্ছেন সবাই ঘিরে ধরছে তাঁকে। সেলফি তোলার হিড়িক উঠছে। আর এসবের মাঝে পড়ে তাঁর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দু সপ্তাহ নাকি বাড়ির বাইরেই যেতে পারেননি কুশল বাদ্যকর।
তাঁর পরিবারে ফিরেছে অভাব অনটন। অন্যদিকে তাঁর গাওয়া গান ভাইরাল করে মুনাফা লুটছে ইউটিউবাররা। কুশলবাবুর গান বাজনার চল রয়েছে বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে। কুশল বাদ্যকরের দাদু ছিলেন শ্রীখোল বাদক। বাবা বাজাতেন বেহালা। সুর তালের জ্ঞান রয়েছেন কুশলবাবুর মধ্যেও।
আর পেশার উন্নতির জন্য সেই গানের প্রতিভাকেই কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু এখন ব্যবসা তো বন্ধ হয়েইছে, শিল্পীর সম্মান টুকুও পাচ্ছেন না কুশল বাদ্যকর। আগে তিনি একটি অফিসে কেরানির কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউনে কাজ চলে যাওয়ায় মাছ বিক্রি শুরু করেছিলেন কুশল বাবু। গানে গানেই মাছ রাঁধার রেসিপিটাও বলে দিতেন। ব্যবসার কাজে গান আর একটি সাইকেল ছিল তাঁর সঙ্গী।
সাইকেলেই মাছের হাঁড়ি নিয়ে গান গাইতে গাইতে মাছ বিক্রি করতেন কুশল বাদ্যকর। প্রথম প্রথম গান ভাইরাল হওয়ায় খুব খুশি হয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রীই নাকি বলেছিলেন, স্বামীর গান ভাইরাল হবে। এখন স্ত্রী সুমিত্রাদেবীর দাবি, তাঁকেও শিল্পী সম্মান দেওয়া উচিত।