ঊর্ধসীমা ৩,০০০ টাকা! National Common Mobility Card ইস্যুতে লাগবে না KYC, নিয়ম পরিবর্তন RBI-এর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতের (India) বিভিন্ন গণপরিবহণ ব্যবস্থায় ডিজিটাল পেমেন্টকে আরও সহজ করে তোলার লক্ষ্যে ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ডের (National Common Mobility Card) জন্য RBI (Reserve Bank Of India) নিয়ম শিথিল করেছে। এমতাবস্থায়, ভবিষ্যতে এই কার্ডের ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে পারে। মূলত, RBI KYC ভেরিফিকেশন ছাড়াই, সর্বাধিক ৩,০০০ টাকার লিমিট সহ এই কার্ড ইস্যুর অনুমতি দিয়েছে।

এমতাবস্থায় সামগ্রিকভাবে এই নতুন নিয়মটি আরও বেশি মানুষের কাছে এই কার্ডগুলি পেতে এবং ব্যবহার করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আপডেটেড নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক এবং প্রিপেইড সংস্থাগুলি KYC ভেরিফিকেশন ছাড়াই ন্যাশনাল কমন মোবিলিটি কার্ড ইস্যু করতে পারে। বিশেষ করে ট্রানজিট পেমেন্টের ক্ষেত্রে এটির সুবিধা মিলবে।

 KYC will not be required for issue of National Common Mobility Card up to 3000 rupees.

পাশাপাশি, একবার এই কার্ডের জন্য গ্রাহকেরা KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেললেই কার্ডগুলি নিয়মিত লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এই প্রসঙ্গে AGS ট্রানজেক্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবি গোয়েল এই রেগুলেটরি আপডেটের বিষয় যথেষ্ট আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এটি এই ফিল্ডে বাজারে থাকা অন্যান্য খেলোয়াড়দের আকর্ষণ করতে পারে। উল্লেখ্য যে, AGS ট্রানজেক্ট RBL ব্যাঙ্কের সাথে অংশীদারীত্বের মাধ্যমে Ongo ব্র্যান্ডেড প্রিপেড কার্ডের দ্বারা বেঙ্গালুরুতে NCMC পরিষেবা প্রদান করে।

আরও পড়ুন: ঘুরে গেল খেলা! চিনকে বড় ঝটকা দিল ভারত, “Made in India” স্মার্টফোনের রপ্তানিতে তৈরি হল নজির

এদিকে, এক প্রবীণ ব্যাঙ্কার জানিয়েছেন যে, ৪৮ টি ব্যাঙ্কের ইস্যু করা প্রায় ২০ কোটি NCMC সক্ষম কার্ড থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। মূলত, এই কার্ড মেট্রো থেকে শুরু করে বাস টোল প্লাজা এবং ফুয়েল ষ্টেশনগুলিতে অর্ধ প্রদানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি এটির ব্যবহার শহরতলির সাথে বড় শহরগুলিতে সংযোগকারী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিতে প্রসারিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: আম্বানি, মাস্ককে টক্কর দেবে Airtel! স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ডের যুদ্ধে সামিল হলেন সুনীল মিত্তলও

জানিয়ে রাখি যে, এই কার্ডের ব্যবহার লন্ডনের ওয়েস্টার কার্ড এবং হংকং এর অক্টোপাস কার্ডের সফল সিস্টেম দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তবে, সামগ্রিকভাবে দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় বিভিন্ন কারণবশত এই কার্ডের দ্রুত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। যদিও, কার্ডটির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর