বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ১২০ মিনিট শেষ হওয়ার পর স্কোরলাইন বলছে ৩-৩। দেখে মনে হতেই পারে যে গোটা ম্যাচ জুড়ে রুদ্ধশ্বাস ও সমানে সমানে লড়াই করেছে দুই পক্ষ। কিন্তু যারা খেলা দেখেছেন, তারা জানবেন যে ম্যাচের ৮০ মিনিট অবধি কোনওরকম মনে রাখার মতো লড়াই উপহার দিতে পারেনি ফ্রান্স। ৮০ মিনিটে ওটামেন্ডির শুধুমাত্র একটা ভুল বদলে নিয়েছিল ম্যাচের চিত্রটা।
সেই ওটামেন্ডির বক্সের ভেতর কোলো মুয়ানিকে করা ফাউল থেকে অর্জিত পেনাল্টি থেকে এবং তার ১ মিনিটের মধ্যে দুর্দান্ত ভলিতে এমি মার্টিনেজকে দুইবার পরাস্ত করে ম্যাচটিকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান ফ্রান্সের তরুণ তারকা ফুটবলার এমবাপ্পে।
ফ্রান্স শিবিরের আক্রমণভাগে গ্রিয়েজম্যান ও অলিভার জিরু বিশ্বকাপ ফাইনালে চূড়ান্ত ফ্লপ। ফ্রান্সকে বিশ্বকাপের টিকিয়ে রেখেছিলেন এমবাপ্পে। এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করার অভিজ্ঞতা ছিল তার। কিন্তু আজ যেন নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন ফ্রেঞ্চ তরুণ।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে সময়ের খেলায় যখন মেসি গোল করে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন, তখন ফের একবার জ্বলে উঠেন এমবাপ্পে। নিজে পেনাল্টি অর্জন করে সেখান থেকে গোল করে ১৯৬৬ সালে জিওফ হার্স্টের পর দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনি হ্যাটট্রিক করলেন। কিন্তু লাভ হল না।
বিশ্বকাপ ফাইনালে নির্ধারিত সময়, অতিরিক্ত সময় এবং টাইব্রেকার মিলিয়ে আজ এমি মার্টিনেজের মতো গোলরক্ষককে ৩ বার পেনাল্টি স্পট থেকে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে। কিন্তু দল তার এই ঐতিহাসিক লড়াইটের যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে পারলো না। ফলস্বরূপ বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে হ্যাটট্রিক করেও জয় পাওয়া হলো এমবাপ্পের। প্রাপ্তি বলতে ৮ গোল করার পুরস্কার, ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার স্বরূপ একটি গোল্ডেন বুট। তবে ২ বিশ্বকাপ খেলে ১৪ ম্যাচে ১২ গোল করে ফেলেছেন। চোট-আঘাত মুক্ত থেকে যদি আর দুটো বিশ্বকাপ খেলেন এমবাপ্পে তাহলে হয়তো সকল রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন তিনি।