বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২২ জুন কানপুর থেকে ল্যাব টেকনিশিয়ান সঞ্জিত যাদবের অপহরণ করে তাঁরই বন্ধুরা। তাঁকে ছাড়ার জন্য ৩০ লক্ষ টাকাও চায় তাঁরা। এরপর ২৬ জুন সঞ্জিতের হত্যা করে তাঁর দেহ পাণ্ডু নদীতে ফেলে দেয় অপহরণকারী বন্ধুরা। তাঁরা সঞ্জিতের বাড়ি থেকে ৩০ লক্ষ টাকা উসুলও করেছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তৎপর হয়ে সঞ্জিতের অপহরণকারী বন্ধু কুলদীপ, রামবাবু সমেত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, কুলদীপ সঞ্জিতের সাথে স্যাম্পেল কালেকশনের আজ করত। ২২ জুন রাতে মদ খাওয়ানোর নাম করে সঞ্জিতকে নিজের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায় কুলদীপ। এরপর সেখানেই তাঁকে বন্দি বানায়। চারদিন পর্যন্ত ইনজেকশন দিয়ে তাঁকে বেহুঁশ রাখা হয়। এরপর ২৬ জুন কুলদীপ তাঁর বন্ধু রামবাবু এবং অন্য তিনজনের সাথে মিলে সঞ্জিতকে হত্যা করে। এরপর কুলদীপ সঞ্জিতের মৃতদেহ নিজের গাড়িতে তুলে নদীতে ফেলে আসে।
তিনদিন পর ২৯ জুন সঞ্জিতের বাবা চমন সিংয়ের কাছে ছেলেকে ফেরত দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়া হয়। পুলিশের পরামর্শ মতো সঞ্জিতের পরিবার বাড়ি, গাড়ি সোনা বন্দক রেখে ৩০ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করে আর ১৩ জুলাই অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তখন অপহরণকারীদের ধরতে পারেনা, তাঁরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সেখান থেকে টাকা পালিয়ে যায়।
পুলিশ তৎপর হয়ে সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে যে তাঁদের তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অপহরণকারীদের কোন টাকা দেওয়া হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে যে, আমরা সমস্ত অ্যাংঙ্গেল দিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা হবে।