বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাভপুর (Labhpur Blast)। জানা যাচ্ছে, গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে তেতে ওঠে লাভপুর থানা অঞ্চলের হাথিয়া গ্রাম। এরপর বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে দু’জনের প্রাণহানির খবর সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (West Bengal Police)।
লাভপুরে বিস্ফোরণে (Labhpur Blast) আহত একাধিক!
নকল কয়েন বিক্রির দৌলতে হাথিয়া গ্রামের বেশ পরিচিতি আছে। জানা যাচ্ছে, এই গ্রামের দখল নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি। একদিকে রয়েছেন হাথিয়ার বুথ সভাপতি শেখ মইনুদ্দিন এবং তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফি ও অন্যদিকে রয়েছেন জাল কয়েন বিক্রেতাদের ‘হেড’ শেখ মনির।
বিগত প্রায় ৬ মাস ধরে মইনুদ্দিন ও মুস্তাফি ফেরার ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় ফের গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করেন তাঁরা। শুরুতেই মনিরের লোকজন তাঁদের রুখে দেয় বলে অভিযোগ। হাথিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য বড় খবর! সব বইয়ে এবার QR কোড, কড়া পদক্ষেপ নিল শিক্ষা সংসদ
এরপর ফের ৩টে নাগাদ গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন মইনুদ্দিন ও মুস্তাফি। কিন্তু সেবারও লাভ হয়নি। দু’জনকে আটকে দেওয়া হয়। দু’বার ব্যর্থ হওয়ার পর সকাল ৭টা নাগাদ দলবল নিয়ে গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করেন মইনুদ্দিন ও মুস্তাফি। তখন আবার হাথিয়া গ্রামেরই ছাতিম পুকুরের পাড়ে বসে মনিরের দলবল বোমা বাঁধছিল বলে খবর। সেই সময় হয় বিস্ফোরণ।
সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যান অনেকে। প্রাণ গিয়েছে ২ জনের। এর মধ্যে একজন হলেন তৃণমূল নেতা শেখ বাদলের ছেলে ও দ্বিতীয়জন স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল খানের ভাগ্না। জানা যাচ্ছে, বাকি আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০২৪ সালের মার্চ মাসেও শিরোনামে উঠে এসেছিল হাথিয়া গ্রাম। নকল অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়ে গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। পরিস্থিতি এতটাই তেতে উঠেছিল সামাল দিতে শূন্যে গুলি চালাতে বাধ্য হন উর্দিধারীরা। ওই ঘটনার বছর খানেকের মধ্যে ওই হাথিয়াতেই প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ (Labhpur Blast)। অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
Made in India