বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডিভোর্স দেবেন না স্বামীকে। আবার ছাড়তে পারবেন না প্রেমিককেও। এমনই অদ্ভুত ত্রিকোণ প্রেমের সমস্যায় জর্জরিত মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়ার দেবীপুর এলাকার এক গৃহবধূর স্বামী ও তার প্রেমিক। এই গৃহবধূ ও তার প্রেমিকের প্রেমের জীবন কিন্তু নতুন নয়। স্কুল জীবনে এই গৃহবধূর পরিচয় হয় তার প্রেমিকের সাথে।
সেই পরিচয় ধীরে ধীরে রূপ নেয় ভালোবাসার। কিন্তু গৃহবধুর বাবা ছিলেন এই প্রেমের বিপক্ষে। তাই তৎক্ষণাৎ গৃহবধূর বাবা আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন সাগরপাড়ার খয়রামারীর বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে। বিয়ের পর ভালোই কাটছিল বৈবাহিক জীবন। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে।
আরোও পড়ুন : আমূল বদলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বাস পরিষেবা! বিরাট চুক্তি করল UBER, এই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা
বর্তমানে গৃহবধূর বয়স ৩৬ বছর। কিন্তু স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই প্রেমিকের সাথে এই গৃহবধূ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেমের সম্পর্ক। স্থানীয় সূত্রে খবর, অসুস্থতার কারণে প্রায় দু বছর আগে গৃহবধূর স্বামীকে ভর্তি হতে হয হাসপাতালে। সেই সময় গৃহবধূ চম্পট দেন বাড়ি থেকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়ি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়।
আরোও পড়ুন : এবার জলের দরে হয়ে যাক রাজস্থান সফর! সঙ্গে থাকছে আরোও ৩ জায়গা, দুর্দান্ত প্যাকেজ IRCTC’র
অনেক বোঝানোর পর স্বামীর বাড়িতে আনা হলেও, দুমাস পর এই গৃহবধূ ফের পালিয়ে যান। অভিযোগ এখনো পর্যন্ত এইরকম প্রায় পাঁচবার ঘটেছে।সাগরপাড়া থানায় গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মহিলার কথায়, স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি এভাবে তার প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক রাখবেন।
গৃহবধুর স্বামী বলেছেন, ও প্রেমিকের কাছে যেতে চায় যাক, কিন্তু আমাকে তো ডিভোর্স দেবে! কেন ডিভোর্স দিচ্ছে না? গৃহবধূ দাবি করেছেন এটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি কোথায় কার কাছে থাকবেন সেই ব্যাপারে কারোর কথা শুনতে রাজি নন। গৃহবধূ এমন কাণ্ডকারখানায় এখন রীতিমতো সংকটে তার স্বামী ও প্রেমিক।