সারাদেশ এই মুহুর্তে উত্তাল কৃষক আন্দোলন ঘিরে। কৃষকদের নিয়ে অনেক কথাই এই মুহুর্তে লেখা হচ্ছে পত্র পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে। একই সাথে শুরু হয়েছে হরিয়ানার আম্বালার অ্যাধয় শহরের বাসিন্দা অমরজিৎ কৌরকে নিয়েও আলোচনা । ২৯ বছর বয়সী অমরজিৎ এর বয়স যখন ১৮, তখন তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার পরিবার ছিল কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। এমতাবস্থায় অমরজিৎ চাষের দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং সংসারের খরচ বহন করছেন।
অমরজিতের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই তার ভাই পড়াশোনা শেষ করতে পারেন। তিনি এই মুহুর্তে সরকারী চাকরিতে কর্মরত । অমরজিৎের কাছ থেকে, গ্রামের কৃষকরা কখন কোন ফসলের ফলন করবেন এবং কীভাবে এই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে পরামর্শ চাইতে আসে।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে, অমরজিতের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরিবারের তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি, যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পরিবারে অনেক সংকট দেখা দেয় তখন। এমতাবস্থায় অমরজিৎ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সে ভোর ৫ টায় উঠে মাঠে গিয়ে কাজ করতে শুরু করেন।
১৮ বছর বয়স থেকে, অমরজিৎ চাষের কাজ শুরু করেন। ফসল বপন থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত সমস্ত কাজ নিজেই করেন। এসবের মাঝেও অমরজিৎ পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাড়ির সমস্ত কাজও করেন। তিনি ট্রাক্টর চালান এবং গবাদি পশুদের খাওয়ান। সম্প্রতি তিনি জৈব চাষও শুরু করেছেন।
অমরজিতের কাজ দেখে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে তার সাথে দেখা করতে এসে তাঁর কাজের প্রশংসা করেছিলেন। এই প্রতিনিধি জমিতে লাগানো সমস্ত কীটনাশক, বীজ, ফসল, ম্যান্ডারিন সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছিলেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা