বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কখনো কখনো এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় যা রীতিমত স্তম্ভিত করে দেয়। অপরাধের প্রতিবাদ আরেকটি অপরাধ করাও আইনের চোখে সমান অপরাধ। যদিও অনেক সময় উচিত-অনুচিতের এই ক্রমটাই গুলিয়ে যায় মানুষের কাছে। এমনই এক ঘটনা ঘটলো, ধর্ষকের যৌনাঙ্গ কেটে তাকে খুন করে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন এক দম্পতি। নিহত এই ধর্ষকের নাম হাবিবুল্লা। পরিবার সূত্রের দাবি লকডাউনের আগে গুজরাটের এক হোটেলে কাজ করতেন তিনি। লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার আগের রাতে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে এসে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতেও যান। কিন্তু সেখান থেকেই আর ফিরে আসেননি।
অন্যদিকে হাবিবুল্লার খুনের দায়ে অভিযুক্ত ওই মহিলা জানিয়েছেন, ঐদিন আরো দুই বন্ধুর সঙ্গে মিলে হাবিবুল্লা তাকে ধর্ষণ করে। আর সেই কারণেই প্রথমে তার যৌনাঙ্গ পরে তার গলার নলি কেটে তাকে খুন করে তার উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করেছে তার স্বামীও। জেরার ফলে জানতে পারা অন্য দুই অভিযুক্তকেও এই মুহূর্তে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে খুনি ধরা পড়লেও এ বিষয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। কারণ পুলিশ জিজ্ঞেস করেছিল, ধর্ষিত হওয়ার পর কেন আইনের সাহায্য নেন নি মহিলা কিন্তু এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তাই পুলিশের অনুমান, স্বামীকে খুনের দায় থেকে বাঁচাতে এ ধরনের ঘটনার কথা বলছেন ওই মহিলা।
যদিও এ বিষয়ে এখনও তেমন কোন প্রকৃত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেভাবেই প্রমাণ পাওয়া যায়নি ধর্ষণেরও। অন্যদিকে হাবিবুল্লার বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে একটি এক বছরের মেয়ে। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন হাবিবুল্লাই। তিন দিন আগে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি মাঠের মধ্যে পাওয়া যায় তাকে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি এখন খতিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।