লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় স্বপ্নপূরণ, মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্পকে গবেষণাপত্রে ঠাঁই দিলেন পড়ুয়া

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তনের সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর শুরু করে নানা ধরনের জনমুখী প্রকল্প। লক্ষীর ভাণ্ডার এই প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পের অধীনে পরিবারের সকল মহিলারা মাসে ৫০০ এবং ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরোধীরা যতই আক্রমণ করুক না কেন রাজ্য সরকারের কাছে এটি একটি মাইলফলক বলাই যায়।

সারা রাজ্যে মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। এই প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য করার জন্য ইতিমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। এবার রাজ্যের এক পড়ুয়ার গবেষণা পত্রে স্থান করে নিল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

বারাসাতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তরের ছাত্র প্রসেনজিৎ দাস তার গবেষণা পত্রে স্থান দিয়েছেন লক্ষীর ভাণ্ডারকে। আর্থিক দুর্দিনের সময় লক্ষ্মীর ভান্ডার চরমভাবে সাহায্য করে প্রসেনজিৎ ও তার পরিবারকে। সেই সাহায্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই তিনি লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে গবেষণা পত্র তৈরি করেন। তার বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া এই ৫০০ বা ১০০০ টাকা অনেক পরিবারের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি একে আমার গবেষণাপত্রে রাখতে চাই।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান প্রসেনজিৎ দাসের বাড়ি নিউ ব্যারাকপুর তালবান্দা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শহরপুরে। তার পরিবারের চরম আর্থিক দুর্দিনে সংসার চালাতে লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। তাই সে স্নাতকোত্তরের ফাইনাল ইয়ারে গবেষণা পত্র বা রিসার্চ স্টাডির বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন লক্ষীর ভাণ্ডারকে।

ছোট থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন প্রসেনজিৎ। সংসারে অভাব থাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার পর শুরু করেন কাজ করা। এর পাশাপাশি তার শখের নাচও চালিয়ে যান তিনি। সাম্প্রতিককালে একটি বাংলা রিলেলিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করে খ্যাতীও অর্জন করেন প্রসেনজিৎ। গবেষণা পথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে তুলে আনার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রতি কিছু আবেদন করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, সরকারের এমন অনেক প্রকল্প আছে যেগুলোর বিশেষ প্রয়োজন নেই। সরকারের উচিত গবেষণা করে সেই সমস্ত প্রকল্প বন্ধ করে লক্ষীর ভাণ্ডারে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। এর সাথে তার সংযোজন, লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা তাদেরই দেওয়া উচিত যাদের সত্যিকারের প্রয়োজন আছে। উপযুক্ত সার্ভে করে দেখা উচিত কোন পরিবারের কত আয়। সেই মোতাবেক এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া উচিত।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর