বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুদিন ধরেই আবাস দুর্নীতি (Awas Corruption) ইস্যুতে উত্তাল বঙ্গ। দিক দিক থেকে ধেয়ে আসছে এই একই অভিযোগ! ‘আবাস দুর্নীতি’। পেল্লায় পেল্লায় ইমারত, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও যোজনার তালিকা ভরেছে বিত্তবানদের নামে। অন্যদিকে নিজেদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চনার দাবিতে পথে নেমেছে আম জনতা, কোথাও হচ্ছে বিক্ষোভ-মিছিল, কোথাও বঞ্চিতদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যদের। এই আবহেই ৩১ ডিসেম্বর শেষ হল কেন্দ্রের (Central) আবাস যোজনার ‘ডেডলাইন’। আর তাতেই চক্ষু চরকগাছ! তালিকা থেকে বাদ ১ লক্ষ ১৭ হাজার নাম।
কেন্দ্রের সরকারী বিধি মেনে আবাস যোজনার তালিকায় উপভোক্তাদের নাম অনুমোদনের দিন শেষ। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তালিকায় ১০ লক্ষ ১৯ হাজার জনের নাম জমা পড়েছে। যদিও সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার। এখনও বাকি ১ লক্ষ ১৭ হাজার। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, এই বাকি থাকা লক্ষাধিক উপভোক্তার অনেকেরই তথ্যের ঠিক নেই। অনেক উপভোক্তার জমি নেই। এছাড়াও অনেকে আবার রয়েছেন বাড়ির বাইরে। জমিহীন ৩১ মার্চের মধ্যে প্রথমে পাট্টা বিলি হবে। তারপর তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আবাসের তালিকায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রথমে পঞ্চায়েত দফতর থেকে কেন্দ্রীয় পোর্টালে উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করা হয়। এরপর তিনবার চলে স্ক্রটিনির কাজ। বিডিও,এসডিও এবং ডিএম মারফত হয় স্ক্রুটিনি। তারপরও তালিকায় কোনো দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে পঞ্চায়েত দফতর থেকে সেখানে গিয়ে স্ক্রুটিনি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ক্রমাগত বাড়তে থাকা আবাস দুর্নীতির আবহেরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাপকদের নাম সংগ্রহ করার কাজ চলতে থাকে। তবে মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর ও পুরুলিয়া এই চারটি জেলা থেকে নাম সংগ্রহের কাজ ধীর গতিতে হয় বলে অভিযোগ জানান খোদ মুখ্যসচিব। এরপরই ২০২২ এর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্রুত কাজ সম্পাপ্তির নির্দেশ দেন তিঁনি। সেইমতই শেষ হয়েছে উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্তকরণ।