পুজোর আগেই সুখবর! লক্ষীর ভান্ডারের টাকা নিয়ে বিরাট আপডেট, খুশি রাজ্যের মহিলারা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২১ সালে তৃণমূল রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর কথা রেখে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ( Lakshmir Bhandar) প্রকল্প চালু করে। যার জেরে মুখে হাসি ফুটেছে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ ‘লক্ষী’র। রাজ্যের মহিলাদেরকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে সূচনা হয়েছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। সব ঠিকঠাকই চলছিল। তবে বর্তমানে আর জি কর নিয়ে উত্তপ্ত আবহে লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

আর জি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ- খুনের ঘটনার পর বিরোধীরা সওয়াল করেছিল, এবার থেকে মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেওয়ার আগে ভেবে নেবেন বাড়ির লক্ষ্মীরা নিরাপদ থাকবে কিনা। অন্যদিকে শাসকদলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিমগুলিতে থাকতে চান না, তাদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার’।

এরপরই লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে বহু মানুষের মধ্যে অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। তাহলে কি সত্যিই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লক্ষীর ভাণ্ডার? বহু মহিলাদের মনে এই প্রশ্ন উঠছিল। তবে আপাতত সব পরিষ্কার। অবশেষে অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকেছে। সাধারণত, প্রতি মাসে ৪-৬ তারিখের মধ্যেই এই প্রকল্পের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে আর জি কর আবহে সেপ্টেম্বরেই টাকা ঢুকতে দেরি হওয়ায় নানা জল্পনা শুরু হয়। তবে ইতিমধ্যেই টাকা ঢুকতে শুরু হয়েছে। যারা এখনো পাননি সেই উপভোক্তরাও চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যাবেন বলে জানা যাচ্ছে।

lakshmir bhandar

আরও পড়ুন: ৬৫ কিমি বেগে ঝড়! কিছুক্ষণেই ভয়ানক বৃষ্টি শুরু কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে, জারি হল হাই অ্যালার্ট

আরও জানা যাচ্ছে, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের নতুন উপভোক্তাদের পুজোর পর টাকা দেওয়া হতে পারে। গত জুলাই মাসে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বনদ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘লক্ষীর ভাণ্ডার যেমন চলছে, তেমনই চলবে। যারা যারা লক্ষীর ভাণ্ডারের আবেদন করেছেন, কিন্তু টাকা পাননি, তাদের চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটা দিন যাক। পুজোর পরেই সবাই ভাতার টাকা পেয়ে যাবেন। কিছু লক্ষীর ভান্ডার পড়ে রয়েছে। তারা সকলে পুজোর পরে পেয়ে যাবেন। পুজোটা হয়ে যাক আমরা এগুলো রিভিউ করে নেব।’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর