৪ বছর ধরে কোথায় যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পের টাকা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট কান্ড, এবার ফাঁস হল সবটা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে চালু রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একাধিক সরকারি প্রকল্প। যার মধ্যে অন্যতম ‘সুপারহিট’ একটি প্রকল্প হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘লক্ষীর ভান্ডার’ (Lakshmir Bhandar)। রাজ্যের মা-বোনেদের আর্থিকভাবে আত্মনির্ভর করে তুলতেই এই প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প নিয়েই উঠল বিরাট গোলযোগের অভিযোগ।

ঘাটালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে শোরগোল

অভিযোগ প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েও রাজ্য সরকারের এই জনপ্রিয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা এক গৃহবধূ।  চার বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত একটা টাকাও পাননি তিনি। সবাই টাকা পেলেও আজ পর্যন্ত তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষী ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) কোন টাকাই  নাকি ঢোকেনি। কিন্তু কেন? দীর্ঘদিন সরকারি দপ্তরে ঘোরাঘুরির পর জানতে পারা গেল আসল ঘটনা।

জানা যাচ্ছে, তাঁর  লক্ষী ভান্ডারে (Lakshmir Bhandar) আবেদন চার বছর আগেই গৃহীত হয়েছে। এমনকি গত চার বছর ধরে ঢুকেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও। কিন্তু সেই টাকা পাচ্ছেন অন্য গ্রামের একই নামের এক মহিলা। কিন্তু এত বড় গন্ডগোল হলো কি করে? কিভাবে এই সমস্যা হল?

বিডিও সৌমেন্দু পাল এপ্রসঙ্গে সাফাই দিতে গিয়ে জানিয়েছেন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই নাকি এই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু শুধুই কি তাই? প্রশ্ন উঠছে সরকারি কাজে গাফিলতি নিয়েও। লক্ষী ভান্ডারের টাকা থেকে বঞ্চিত ওই গৃহবধুর স্বামী জানিয়েছেন সমস্যার সুরাহা না হলে মামলা দায়ের করবেন। তবে বিডিও আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন তিনি সমাধানের চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন: ‘এই প্রশাসন চুপ কেন? দলের থেকে আমার কমিউনিটি আগে’, বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এক ব্লকের বেরোবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবানা খাতুন। ২০২১ সালে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই লক্ষী ভান্ডারের টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। ব্যাংক ডিটেইলস সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত লক্ষ্মী ভান্ডারে সেই টাকা পাননি সাবানা। স্থানীয় স্তরে বিষয়টি জানানোর পরেও এখনো কোনো সমাধান সূত্র মেলেনি।

Government of West Bengal Lakshmir Bhandar required documents details
শেষ পর্যন্ত বিডিও অফিসে যেতেই তিনি জানতে পারেন তার নামে যে লক্ষী ভান্ডার চালু রয়েছে। অন্য গ্রামের একই নামের একজন মহিলা পাচ্ছেন  সেই টাকা। এরপর দুজন সাবানাকে ডাকতেই জানা যায় অন্য গ্রামের যে  সাবানা খাতুন তিনি নিজের টাকা তো পাচ্ছেন সঙ্গে পারছেন নিজের নামের অন্য এক গৃহবধুর টাকাও। তাকে বলা হয় তার নাম কাটিয়ে নতুন করে আবেদন করতে। কিন্তু এখন তিনি বেঁকে বসেছেন।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর