বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর অনেকেই বলেছিলেন, এবার থেকে মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেওয়ার আগে ভেবে নেবেন বাড়ির লক্ষ্মীরা নিরাপদ থাকবে কিনা। কেউ কেউ আবার এই প্রকল্পের টাকা ফেরত দেওয়ার নিদানও দিয়েছিলেন। এরপর তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিমগুলিতে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার’। এরপরেই অনেকে চিন্তা পড়ে যান! তাহলে কি বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)? কারোর কারোর মনে দেখা দেয় এই প্রশ্ন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে নয়া আপডেট
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) জনপ্রিয়তম প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই স্কিমের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন বাংলার অগুনতি মহিলা। অনেকের মতে, এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দৌলতেই ভোটবাক্সে ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রকল্প বন্ধ হওয়ার জল্পনা কল্পনা শুরু হতেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন অনেকে।
- সত্যিই কি বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার?
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, চলতি বছরের দুর্গাপুজোর অনুদান বিতরণ নিয়ে ‘ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছে রাজ্য সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর অবধি সেই টাকা না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, শিক্ষক দিবসের দিন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের (Government Scheme) ১০,০০০ টাকা ঢোকার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ED আসতেই ঘুরে গেল ‘খেলা’! দুর্নীতির কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কাকে পাঠাতেন সন্দীপ? ফাঁস হতেই তোলপাড়
দুর্গাপুজোর অনুদান, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প এতদিন যেমন চলছিল সেইভাবেই চলবে বলে খবর। ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা প্রত্যেক মাসে সরকারের থেকে ভাতা পান, তাঁদের চিন্তার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প চালু করেছিল মমতা সরকার। তিন বছরের মধ্যেই ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে এই স্কিম। শুরুতে এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পেতেন। তবে চলতি বছর লোকসভা ভোটের মুখে ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসে মাসে ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলারা ১২০০ টাকা করে পাচ্ছেন।