বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয়তম প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে ভাতা বাড়ানো হয়েছে। ৫০০ টাকার বদলে বর্তমানে ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন বাংলার মহিলারা। এবার এই প্রকল্প (Lakshmir Bhandar) নিয়েই নতুন আপডেট!
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন অগুনতি মহিলা
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) এই প্রকল্পের ফর্ম ফিল আপের সময় অনেকেই নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হন। এক্ষেত্রে ফর্ম জমা দেওয়ার আগে আবেদনকারীকে বেশ কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হয়। আবেদনকারী মহিলা যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিচ্ছেন, সেটির সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক থাকতে হয়। এক্ষেত্রে সিঙ্গেল, জয়েন্ট উভয় অ্যাকাউন্টই দেওয়া যায় বলে খবর।
মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্রে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। এটা যদি না থাকে তাহলে আবেদনকারীর আবেদনপত্র গৃহীত হয় না। প্রকল্পের (Government Scheme) ফর্মে স্বাস্থ্য সাথী নম্বর দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু নথিপত্রও জমা করতে হয় বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ রান্নার গ্যাস নিয়ে চিন্তার খবর! দেখা দিতে পারে সঙ্কট! রাতের ঘুম উড়ল আমজনতার
একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এবং ব্যাঙ্কের পাসবুকের জেরক্স দিতে হয়। সেই সঙ্গেই নিজের একটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা করতে হয় বলে খবর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পের ফর্ম ফিল আপের সময় এই কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখলে ভালো।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে শুরুতে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা করে দেওয়া হতো। তবে লোকসভা নির্বাচনের আবহে সেই ভাতা বাড়ানো হয়। বর্তমানে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলারা ১২০০ টাকা করে পাচ্ছেন।