আবেদনের পরও মেলেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, কোলের সন্তানকে নিয়ে ঠান্ডার মধ্যেই ধর্নায় বসলেন শান্তনা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সঠিক পদ্ধতিতে সবকিছু মেনেই ফর্ম জমা দিয়েও মেলেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা। অন্যান্যরা পেয়ে গেলেও, নিজে না পাওয়ায় এবার ধর্নায় বসলেন ধূপগুড়ির শান্তনা রায়। বিডিও-র অপেক্ষায় কোলের সন্তানকে নিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় বসে অপেক্ষা করলেও, মেলে না দেখা। যার ফলে বর্তমান সময়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে ধূপগুড়ি বিডিও অফিসের ভূমিকা।

ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের উত্তর আলতাগ্রামে। যেখানের বাসিন্দা শান্তনা রায় অভিযোগ করেছেন, চলতি বছর অগাষ্ট মাসে দুয়ারে সরকারে আর সকলের মত করে তিনিও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানান। অন্যান্য সকলের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা চলে এলেও, তাঁর কাছে এখনও পর্যন্ত কোন ম্যাসেজই আসেনি।

lakshmir 16403600503x2 1

এরপর বারবার বিডিও অফিসের একাধিক আধিকারিকের কাছে ছুটে যান নিজের সমস্যা নিয়ে। কিন্তু কেউই তাঁর সমস্যায় আমল দেয়নি। শেষে এক আধিকারিকের কথায় বিডিও-র সঙ্গে দেখা করার জন্য কনকনে ঠান্ডায় ধর্না দেন শান্তনা। কোলে সন্তানকে নিয়ে এই ঠাণ্ডার মধ্যে অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি।

কিন্তু গোটা দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও, দেখা হয় না বিডিও-র সঙ্গে। এমনকি বন্ধ করে দেওয়া হয় গেটও। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে ওই এলাকায়। প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিডিও অফিসকে। তবে এই ঘটনায় বিডিও শঙ্খদ্বীপ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, সম্ভব হয়নি।

964355 IMG 20211224 WA0036

তবে এই বিষয়ে শান্তনা রায় জানান, ‘সবার মত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করলেও, আমার মোবাইলে ম্যাসেজ বা ফোন কিছুই আসেনি। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এবিষয়ে বিডিও অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। কিন্তু এখানে সকাল ১১ টা নাগাদ আসার পর, আমাকে আবার নতুন করে ফর্ম জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু কেন আবার সবকিছু নতুন করে করব? সব কাজগপত্র তো ঠিকই দিয়েছি। ভুল থাকলে, আমাকে দেখাক। প্রধান আমার সমস্ত কাজগপত্র বিডিও অফিসে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও অবধি বিডিও-র সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। প্রয়োজনে সারারাত এখানে অপেক্ষা করব’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর