বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বর ইস্যুতে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বাংলাও সেই বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পায়নি। হাওড়া, কলকাতা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের একাধিক প্রান্তে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, রাস্তা অবরোধ, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা, ইট বৃষ্টির দ্বারা আন্দোলন করে চলে বিক্ষোভকারীরা। এসকল ঘটনা মাঝেই অনেকে প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করে।
সম্প্রতি, কলকাতা পুলিশ দ্বারা সারা বাংলায় এহেন পরিস্থিতি নিয়ে একটি সতর্কতামুলক পোস্ট করা হয় আর সেই ফেসবুক পোস্টে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেয় বহু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তবে শুধু তাই নয়, কমেন্ট বক্সে কটূ ভাষায় গালিগালাজ এবং অশ্লীল মন্তব্য করতেও দেখা যায়। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক এবং এই বিতর্ক মাঝে অবশেষে কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দেয় লালবাজার। এমনকি যেসকল ব্যক্তিরা গালিগালাজ এবং বিতর্কিত মন্তব্য করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি, প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর গোটা দেশের ন্যায় বাংলাতেও বিভিন্ন প্রান্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। হাওড়া, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে সামিল হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। হাওড়া, উলুবেরিয়া এবং পাঁচলায় আন্দোলনের জেরে দুর্ভোগের শিকার হয় বহু মানুষ। রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ দেখানো হয়। এই সকল ঘটনা মাঝেই দীর্ঘ অবরোধে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের অসুস্থতা এবং মৃত্যুর খবর পর্যন্ত উঠে আসে আর এর পরেই তাদের সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে প্রশাসনের ওপর।
যদিও সেই ব্যাপারটি আঁচ করতে পেরে রাজ্য সরকার দ্বারা হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারকে বদল করা হয়। কিন্তু তাতেও থামে না ক্ষোভ। এর পরেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে একটি সতর্কতামুলক পোস্ট করে বাংলার মানুষকে প্ররোচনামূলক মন্তব্যে না জড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও সেই পোস্টটি গুরুত্বসহকারে নেওয়া তো দূরের কথা, বরং কমেন্ট বক্সে বহু গালিগালাজ সহ মন্তব্য করতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।
সূত্রের খবর, এর পরেই ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দেয় লালবাজার এবং অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে খবর।