বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত গত ৩০ তারিখ সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন কয়লা পাচার (Coal Scam) কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা (Lala)। বিগত প্রায় চার মাসেরও অধিক সময় ধরে একাধিকবার সিবিআইয়ের তরফে লালাকে তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। ছিলেন গা ঢাকা। তবে কয়েকদিন আগে সুপ্রিমকোর্টের রক্ষাকবচকে কাজে লাগিয়ে গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালা।
নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে লালাকে জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচারকাণ্ডের শিকড় অনেক গভীরে। বেআইনি এই ব্যবসার পিছনে আরও কে বা কারা জড়িয়ে আছেন তারই খোঁজ করছিল সিবিআই। কারণ তাঁদের অনুমান ২০০০ কোটি টাকার লালার ব্যবসা কখনও একার হতে পারে না। তবে সেবারের জিজ্ঞাসাবাদে লালার জবাবে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। তাই তাঁকে আজ ফের ডেকে পাঠায় সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন লালা। নিজেকে তিনি কয়লা মাফিয়া মানতে রাজি নন, বরং নিজেকে ব্যবসায়ীর পরিচয় দিচ্ছেন লালা বলেই খবর। তাই তাকে বারবার তলব করছে সিবিআই বলে জানা যাচ্ছে । সেই মত এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ফের সিবিআই দফতরে হাজির হন লালা।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে তদন্তে নামার পরই গোয়েন্দাদের চক্ষুচড়ক গাছ। লালাকে একাধিকবার তলব করা হলে, তা এড়িয়ে যান তিনি। এমনকি তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা থেকে পলাতক ঘোষণা করাতেও কোনও লাভ হয়নি। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ঢাল করে গত মঙ্গলবার হাজিরা দেন লালা। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই লালাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, লালার আজকের হাজিরায় গোয়েন্দারা তাঁর ব্যবসার মাথায় কোন কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে , তা জানতে চাওয়া হতে পারে। এবং তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে এদিন হাজিরা দেন পুরুলিয়ার প্রাক্তণ পুলিশ সুপার এস সেলভামূর্গান, যিনি রাজ্য বর্তমানে সিআইডি-তে (CID) আছেন। কারণ তিনি সেখানে থাকাকালীন কয়লা পাচার কাণ্ড সন্মন্ধে জানতেন কিনা, আর জানলে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন এসবই জিজ্ঞাসা করা হতে পারে জানা যাচ্ছে।