বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শনিবার ঘরের মধ্যে পা পিছলে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। পরবর্তীতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বর্তমানে শারীরিক অবস্থা ভালো নেই লালুর আর সেই কারণেই এদিন বিকেলের পর দিল্লি এইমসে ভর্তি করার জন্য তাঁকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর সামনে উঠে আসছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই হৃদযন্ত্র ও কিডনি সহ অন্যান্য একাধিক রোগে ভুগে চলেছেন লালুপ্রসাদ আর এর মাঝে গত সপ্তাহে পড়ে যাওয়ার কারণে ডান কাঁধে গুরুতর চোট পান তিনি। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে আর এদিন আচমকা শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে তাঁর। ইতিমধ্যেই ডান কাঁধে ফ্র্যাকচারসহ কিডনি এবং হার্টের সমস্যায় ভুগছেন লালু। তবে এরমাঝেই আবার চিকিৎসার জন্য আরজেডি প্রধানকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার খবরটিও সামনে আসতে থাকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে ঘরের মধ্যেই আচমকা পা পিছলে পড়ে যান বর্ষীয়ান আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব। এর জেরে তাঁর ডান কাঁধে গুরুতর চোট লেগেছে বলে খবর সামনে উঠে আসতে থাকে। এক্ষেত্রে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার সময় আচমকাই পা পিছলে পড়ে যান আরজেডি নেতা। তৎক্ষণাৎ তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শারীরিক পরীক্ষা করে জানা যায় যে, লালু প্রসাদ যাদবের কাঁধে দুটি হাড়ে চিড় ধরেছে। ফলে অতীতেই কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন লালু প্রসাদ যাদব আর তার মাঝেই কাঁধে ফ্র্যাকচার তাঁকে যে নতুন করে সমস্যায় ফেলেছে, তা বলাবাহুল্য।
প্রসঙ্গত, লালুপ্রসাদ যাদবের শারীরিক অসুস্থতা মাঝে চিন্তিত হয়ে পড়েছে তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে সকল দলীয় কর্মীরা। এর মাঝে গতকাল আরজেডি প্রধানের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেওয়ার জন্য তেজস্বী যাদবকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রসঙ্গে আরজেডি দলের মুখপাত্র চিত্তরঞ্জন গগন বলেন, “গতকাল সন্ধ্যার দিকে তেজস্বী যাদবকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। তেজস্বীর কাছ থেকেই উনি লালুপ্রসাদ যাদবের শারীরিক আরোগ্য কামনা করেন।”
তবে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নন, এদিন প্রাক্তন সতীর্থের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে পৌঁছে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর আরোগ্য কামনা করার পাশাপাশি বেশ খানিকক্ষণ সময় অতিবাহিত করেন হাসপাতালে। পরবর্তীতে তিনি বলেন, “আজ পাটনা হাসপাতালে আরজেডি প্রধান লালু যাদবের সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়েছি। যাতে উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, তার জন্য সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে।” তবে শেষপর্যন্ত এদিন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় কিনা, সেটাই দেখার।