বাংলাহান্ট ডেস্ক : অরোকিয়াস্বামী ভেলুমণি(Arokiyaswami Bhelumoni) এমন একজন মানুষ যিনি জন্ম থেকেই লড়াই করে বড় হয়েছেন। ১৯৫৯ সালে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu)কয়ম্বাতরে একটি গ্রামে ভূমিহীন কৃষক পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এতো কষ্ট এবং দরিদ্রতা তার ভাগ্যকে অভিশাপ দেওয়ার পরিবর্তে, তাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দেয়।
অরোকিয়াস্বামী ভেলুমণির প্রাথমিক জীবন
ভূমিহীন কৃষকের পুত্র থেকে শুরু করে ৩,৩০০ কোটি টাকার সাম্রাজ্য গড়ার ক্ষেত্রে অরোকিয়াস্বামী ভেলুমানির যাত্রা ছিলো অন্যরকম। অরোকিয়াস্বামী ভেলুমণি সেই পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে একজন ছিলেন। ভেলুমানির মা ছিলেন একমাত্র যিনি রোজগার করতেন , কারণ তিনি নিজে পরিবারকে চালানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।মহিষএর দুধ বিক্রি করে প্রতি সপ্তাহে পঞ্চাশ টাকা আয় করে পরবর্তী দশ বছরের জন্য পরিবারকে তিনি সাহায্য করেছিলেন।
তার সাফল্যের কাহিনী
তার গ্রামে পড়াশোনা করাও ছিলো কঠিন ব্যাপার কিন্তু তারপর মধ্যেও কোনমতে পড়াশোনা করে সে নিজে বড় হয়েছে । তিনি উনিশ বছর বয়সে স্নাতক (বিএসসি ডিগ্রি) পাশ করেছিলেন কিন্তু তাও একটি ভাল চাকরি পাননি । বহু অপেক্ষা করার পর জেমিনি ক্যাপসুল যা কোয়েম্বাতোরের একটি ছোট ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা, সেখানে একটি চাকরী পান। কিন্তু প্রতি মাসের বেতন তা কোনো কাজেই আসতো না। এরপর ব্যাংকে চাকরী করে সেই টাকা জমিয়ে ভেলুমণি থাইরয়েড বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পিএইচডি করেন আর থাইরোকেয়ার নামে একটি কোম্পানির উত্থান করেন আর আজ সেই কোম্পানির মালিক এবং তারপর বাকি ভাইরা তারাও এই কোম্পানির অংশীদার। এবং ভেলুমণির স্ত্রী তারপর সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা। আজ সেখান থেকে আয় হয়ে প্রায় ৩, ৩৭৭ কোটি টাকা।