বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার হয়েছেন ‘বীরভূমের বাঘ’ তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির পর থেকেই গরু চক্র রহস্যের কূলকিনারা খুঁজে পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জোর তদন্ত চালিয়ে কেষ্টর একাধিক সহযোগীর নামে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে দাবি আগেই আদালতে দাবি করেছে সিবিআই (CBI)।
আর এবার কেষ্ট কন্যা সুকন্যার (Sukanya Mondal) গাড়িচালকের (Driver) নামে বিপুল পরিমান জমির (Plot) হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে দাবি গোয়েন্দা সংস্থার। শুধু তাই নয়, হদিস পাওয়া ওই জমির সঙ্গে গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, অনুব্রত সঙ্গী সেহগাল হোসেনের যোগ রয়েছে বলেও দাবি সিবিআইএর। জানা গিয়েছে, আদালতের কাছে শুক্রবারই এই সংক্রান্ত নথি পেশ করেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, বর্তমানে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত।
আরও কী জানা যাচ্ছে? সুকন্যার ওই গাড়ি চালকের নাম তুফান মির্ধা। তুফান বোলপুর কালিকাপুর এলাকায় বসবাস করেন। অনুব্রত কন্যার দীর্ঘদিনের গাড়ি চালক তিনি। এবার তদন্তে নেমে সেই তুফানের নামেই বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেল সিবিআই। পাশাপাশি তুফানের সঙ্গে অনুব্রত ও সেহগালের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি তদন্তকারীদের। তারা আরও জানান, গরু পাচারের টাকার সাথে এই জমি কেনার সক্রিয় সম্পর্ক রয়েছে।
জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েত এলাকায় পাথরঘাটা মৌজায় গাড়ি চালক তুফানের নামে প্রায় ৫২ কাঠা জমির হদিস মিলেছে। সরকারি তথ্যানুযায়ী ওই জমি ২০২২ সালের মে মাসে তুফান মির্ধার নামে রেকর্ড করা হয়েছে, অর্থাৎ কেষ্ট মণ্ডল গ্রেফতারের মাত্র মাস আড়াই আগে। যেই গোটা জমির বাজারদর আনুমানিক দু’কোটিরও বেশি।
একজন গাড়ি চালকের নামে কী করে এত পরিমান সম্পত্তি থাকতে পারে সেই নিয়ে নানা মহল থেকে উঠে আসছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে ভোলেবোম চালকলে সিবিআই হানা দেয়। জানা গিয়েছিল, সেই দিনেও স্থানীয় এক বাসিন্দার দেওয়া চিরকুটে এই তুফান মির্ধার নাম উঠে আসে। এরপর ১ মাস আগে তাকে তলবও করে সিবিআই।